সহিংসতার বিরুদ্ধে চাই জনতার প্রতিরোধ by মোঃ আবু সালেহ সেকেন্দার

রাজনৈতিক সহিংসতায় উত্তপ্ত সাতক্ষীরা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিন্টু সাতক্ষীরার বাসিন্দা। তার সঙ্গে আলাপকালে জানতে চাইলাম সে কেমন আছে। তার কণ্ঠে আতংকের ছাপ স্পষ্ট। তার কাছ থেকে জানতে পারলাম সেখানে জামায়াত-শিবির আর যৌথ বাহিনী সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে কানামাছি খেলছে তার বিবরণ। শুধু সাতক্ষীরায় নয়; গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও সীতাকুণ্ড আজ এক ভয়ানক জনপদ। এসব এলাকার নতুন প্রজন্ম একাত্তর দেখেনি; কিন্তু আজ যা দেখছে তা একাত্তরের শোনা গল্পকেও যেন হার মানায়!
আমরা যে ঢাকা শহরে বাস করছি, সে শহরও কি নিরাপদ? এখানে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে অহরহ। কোথাও মানুষ পুলিশের গুলিতে মরছে, কোথাও ককটেলে ঝলসে যাচ্ছে। কোথাওবা পিকেটারের ছোড়া হাতবোমায় জনগণের প্রাণপাখি উড়ে যাচ্ছে। নষ্ট এই রাজনীতির খেলায় শহর-গ্রাম, রাজপথ-রেলপথ জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেলেও রাজনীতিকদের যেন কোনো দায় নেই! সরকারি দল-বিরোধী দল কারোই যেন কোনো ভাবান্তর নেই। আর জনগণ অসহায় নাকি ভাবলেশহীন- এর উত্তর পেতে আমাদের হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ইতিহাস বলে, বাঙালির সবকিছু মেনে নেয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। তারা দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে প্রতিবাদ করে না। মুঘল সম্রাট বাবর বাঙালির এ চরিত্রকে উপলব্ধি করে তার আÍজীবনীতে লিখেছেন- বাংলাদেশে অদ্ভুত রীতি আছে, এখানে জনগণ সিংহাসনকে শ্রদ্ধা করে। রাজাকে হত্যা করে যে কোনো ব্যক্তি সিংহাসনে বসুক না কেন, তাকে সবাই রাজা বলে স্বীকার করে।

No comments

Powered by Blogger.