বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী নারী কম কেন?

বিজ্ঞানে প্রথম নোবেলজয়ী নারী ম্যারি কুরি।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে আদা ইয়োনাথ
বিশ্বের নারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবু বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল আর গণিতের মতো বিষয়ভিত্তিক কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ পদগুলোর অধিকাংশই রয়েছে পুরুষের দখলে। সবচেয়ে উন্নত দেশেও ব্যাপারটার ব্যতিক্রম চোখে পড়ে না। বিজ্ঞানের জগতে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রেও নারী পিছিয়ে। বিজ্ঞানীদের কাঙ্ক্ষিত চূড়ান্ত পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত নোবেল বিজয়ীদের তালিকায়ও দেখা যায় পুরুষের জয়জয়কার। এ পর্যন্ত বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাবিদ্যা ও অর্থনীতি) নোবেল বিজয়ী মোট ৩৫৭ জনের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৬ জন। এতটা ব্যবধানের কারণ কী? বিষয়টি অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক হানা ডগডেল ও জুলিয়া শ্রোয়েডার। তাঁদের মতে, ২০ শতকের প্রথমার্ধে বিজ্ঞান গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। সম্ভবত এ কারণেই নোবেলজয়ী নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা এত কম। সিগনিফিকেন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানবিদ স্টেফানি কোভালচিক লিখেছেন, ২০ শতকের প্রথমার্ধে বিজ্ঞানভিত্তিক পেশায় অংশগ্রহণে নারীদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নোবেল মনোনয়নে নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী সংগঠন রোসালিন্ড ফ্র্যাংকলিন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি অ্যান লিবার্ট অভিযোগ করেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নারীরা নোবেল মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে উপেক্ষার শিকার হন। কারণ, তাঁদের মনোনয়ন দিতে কেউ উদ্যোগ নেয় না। সর্বশেষ ২০০৯ সালে নোবেলজয়ী নারী বিজ্ঞানী ইসরায়েলি আদা ইয়োনাথ। আর প্রথম এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পোলিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি নারী বিজ্ঞানী মেরি কুরি। পদার্থবিদ্যায় ১৯০৩ সালে নোবেল পান তিনি। হাফিংটন পোস্ট।

No comments

Powered by Blogger.