চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে আবারও সহিংসতা

চীনের জাতিগতভাবে বিভক্ত শিনজিয়াং প্রদেশের একটি থানায় হামলা চালিয়েছে ১০০ জনের বেশি লোক। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে গতকাল শনিবার এ কথা বলা হয়েছে।  শিনজিয়াং প্রদেশের হোতান এলাকায় গত শুক্রবার এই হামলা হয়। এলাকাটির বাসিন্দাদের বেশির ভাগই ইসলাম ধর্মাবলম্বী উইঘুর সম্প্রদায়ের। দুই দিন আগে সেখানে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় ৩৫ জন মারা যায়। প্রদেশটিতে মুসলিম উইঘুরদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ হান সম্প্রদায়ের সংঘাত দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। উইঘুরদের অভিযোগ, চীনা সরকার তাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছে। তবে সরকারের দাবি, তারা উইঘুরদের বড় পরিসরে স্বাধীনতা দেয়। এরপর তারা বিচ্ছিন্নতাবাদের চরমপন্থার দিকে যাচ্ছে বলে সরকারের অভিযোগ। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলির মালিকানাধীন সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা প্রথমে স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জড়ো হয়। এরপর তারা মোটরসাইকেলে চড়ে মোইউ কাউন্টির একটি থানায় হামলা চালায়। কর্তৃপক্ষ হামলায় হতাহতের সংখ্যা খতিয়ে দেখছে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজ করছে। এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় ২০০ জনের একটি দল হোতানে একটি বিপণিবিতান এলাকায় ‘ঝামেলা উসকে দেওয়ার’ চেষ্টা করে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে একজন উইঘুর বাসিন্দার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, পুলিশ স্থানীয় একটি মসজিদে নামাজ চলাকালে গত শুক্রবার অভিযান চালায় এবং সেটিকে ঘিরে রাখে। দাপ্তরিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া বক্তব্য ওই মসজিদের ইমাম প্রচার না করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় উইঘুর বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে আরও বলা হয়, উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকজন মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদের ওপর গুলিও চালায়। এতে অন্তত দুজন নিহত ও আরেকজন আহত হয়।
তবে রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদ ওয়েবসাইট তিনশান ওয়েবের খবরে বলা হয়, ওই ঘটনায় স্থানীয় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ বা সরকারের কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা খবরে জানানো হয়নি। এএফপি ও রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.