ঘূর্ণিস্রোতে বিএনপি by কাফি কামাল

প্রকাশ্যে প্রতিবন্ধকতা, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র। নেতৃত্বের ওপর জমছে মামলার পাহাড়। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে শীর্ষ নেতাদের- যারা রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ, সাংগঠনিকভাবে সক্রিয়। বাদ পড়ছেন না তৃণমূল নেতারাও। কারাগারের পরিধি যেন বেড়ে যাচ্ছে সারাদেশে।
দীর্ঘ হচ্ছে গুম-খুনের তালিকা। পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের হামলায় বাড়ছে আহতের সংখ্যা। চারদিকে গুঞ্জন তুলছে আতঙ্ক আর আশঙ্কা। সার্বিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দীর্ঘ সময় দেশ পরিচালনাকারী ও বর্তমানে বিরোধীদল বিএনপি। তবে পরিস্থিতি অভূতপূর্ব নয়। ইতিহাস বলে, এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আছে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তার নেতৃত্বেই স্বৈরাচার বিরোধী ও ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঋদ্ধ হয়েছে দলটি। পরিস্থিতির উত্তরণও ঘটিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও উত্তরণের স্বপ্ন দেখছেন বিরোধী নেতাকর্মীরা। একদিকে হামলা-মামলায় ক্ষয় হচ্ছে শক্তি, অন্যদিকে দিনদিন জোরালো হয়ে উঠছে রাজপথের লড়াই।
প্রথম সঙ্কট: ত্রিশ বছর আগে। জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর প্রথম রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে পড়েছিল বিএনপি। ক্ষমতাসীন থেকে সরাসরি রাজপথে। দলের মহাসচিব প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা ছিলেন আতঙ্কে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর প্রসঙ্গে একটি সন্দেহই ছিল সে আতঙ্কের কারণ। এরশাদ সরকার যার সফল ব্যবহার করেছিল। শীর্ষ নেতৃত্ব ছিল নতজানু। তেমন এক পরিস্থিতিতে ছাত্রদল ও যুবদলের আগ্রহ-আহ্বানে নেতৃত্বে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সহধর্মিণী খালেদা জিয়া। মানতে পারেননি অনেকেই। দলের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার, শাহ আজিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, কেএম ওবায়দুর রহমান, ব্যারিস্টার আবুল হাসনাতের মতো প্রভাবশালী নেতারা ভাঙন ধরিয়েছেন দফায় দফায়। ক্ষমতার হালুয়া-রুটির লোভে স্বৈরশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন গোলাম সরোয়ার মিলন, এনামুল করিম শহীদ, গোলাম হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, জালাল আহমেদ, আনিসুজ্জামান খোকনের মতো প্রভাবশালী ছাত্র ও যুবদল নেতারা। তখনও বিএনপির আন্দোলের ঝুলি ছিল শূন্য। কিন্তু বিভ্রান্ত হননি সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল, তরুণ ও যুব নেতা। গৃহবধূ থেকে রাজপথে নেমেই খালেদা জিয়া দৃঢ় হয়েছিলেন রাজনৈতিক চরিত্রে। ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণতন্ত্রের প্রশ্নে অনড়, আপসহীন। হামলা-মামলা গ্রেপ্তারের মধ্যেও তিনি পাশে পেয়েছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মাজিদুল হক, অলি আহমদ ও খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিকসহ যুব ও ছাত্রদলের এক ঝাঁক নিষ্ঠাবান প্রতিবাদী নেতাকে। কিন্তু সেবার পরিস্থিতি উত্তরণে পরোক্ষ ভূমিকায় ছিল অন্য কিছু। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কারণে এরশাদ সরকার ছিল নৈতিকভাবে দুর্বল। তিনি প্রকাশ্যে দমন ও আড়ালে ষড়যন্ত্র করেছেন। তার ক্ষমতা দখলকে সমর্থন দিয়ে ও সমঝোতা করে জনগণের আস্থা হারিয়েছিলেন দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। ৮৬’র নির্বাচন ছিল টার্নিং পয়েন্ট। যা খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে পরিণত করে গণতন্ত্রকামীদের আস্থার প্রতীকে। ছিল গণতন্ত্রকামী জনতার লড়াই ও গণমাধ্যমের সমর্থন। দলের তরুণ নেতৃত্ব ছিল স্বচ্ছ, ত্যাগী ও লড়াকু। তাই শত প্রতিবন্ধকতার দেয়াল ভেঙে শক্তিশালী হয়েছে দলটি। মজবুত সাংগঠনিক কাঠামো না থাকার পরও জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করেছে ৯১’র নির্বাচনে।
দ্বিতীয় সঙ্কট: ১৯৯১ থেকে ২০০৬। ১৬ বছরে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে বিএনপিতে। তিনবার সরকার পরিচালনার কারণে বেড়েছে সাংগঠনিক পরিধি। কিন্তু ততদিনে ঘুনে ধরেছে সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বের নৈতিকতায়। এককালের স্বচ্ছ, ত্যাগীদের অনেকেই পরিণত হয়েছেন অঢেল বিত্তশালীতে। জমেছে দুর্নীতির অভিযোগ, কমেছে ইমেজ, হারিয়েছেন মানুষের আস্থা। বিত্ত হজম করে নিয়েছে নেতৃত্বের লড়াকু মানসিকতা ও নৈতিক শক্তি। সরকার হিসেবে উন্নয়নের কৃতিত্ব ও দুর্নীতির অভিযোগ পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার দিকে যতটা নজর দিয়েছে ততটা নজর দেয়নি অপপ্রচার মোকাবেলার দিকে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার মানসিকতা তাদের একগুঁয়েমির পথে ঠেলে দিয়েছে। সমর্থন হারিয়েছেন কূটনীতিক মহলের। দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারাও বিশ্বাস করেন এ অদূরদর্শিতায় ডুবিয়েছে দলটিকে। যার ফলস্বরূপ এসেছে রাজনীতি বিরোধী ওয়ান-ইলেভেন দানব। ফলে ১৬ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে পড়ে বিএনপি। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানসহ দলের সক্রিয় সিনিয়র নেতা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের। তাদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল দুর্নীতি। দীর্ঘ সময়ের মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দলের বড় একটি অংশ সংস্কারের নামে ভাঙন ধরিয়েছে সরাসরি। যাদের বেশির ভাগই ছিলেন সদ্যবিলুপ্ত সংসদের মন্ত্রী-এমপি। তখন কেউ নিরাপদ দূরত্বে বাঁচিয়েছেন নিজেদের, কেউ কেউ সমঝে চলেছেন। কঠিন হয়ে উঠেছিল সে পরিস্থিতি। গুমোট অন্ধকারাচ্ছন্ন। সেবারও খালেদা জিয়া পাশে পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান খোন্দকার দেলোয়ার, হান্নান শাহ ও তরুণ রিজভী আহমেদের মতো কিছু নেতা এবং ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল। যারা ক্ষমতাসীন থাকাকালে ছিলেন উপেক্ষিত। সুবিধাভোগীরা তো নিজেদের আড়াল করেছিলেন পাকা জাদুকরের মতো। ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক উত্তরণের প্রধান কারণ ছিল জরুরি সরকারের ব্যর্থতা ও দলের তৃণমূল নেতৃত্বের ঐক্য। তারা ব্যর্থ হয়েছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে। ব্যর্থ হয়েছিল মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমের সমালোচনা ও ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা তো ছিলই। দ্বিতীয় সঙ্কটে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হতো এবার অস্তিত্ব হারাবে বিএনপি। ভেঙে টুকরো টুকরো হবে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের প্রতি তৃণমূলের ভালবাসা ও আস্থার কারণে একে একে ব্যর্থ হয়েছে কার্যকরভাবে বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র। তারেক রহমানের ওপর শারীরিক নির্যাতন ও বিদেশে যেতে খালেদা জিয়ার অস্বীকৃতি তৃণমূলের ঐক্যকে দিয়েছিল দৃঢ়তা। এবারও গণতন্ত্র ফেরাতে ভূমিকা রেখেছিল খালেদা জিয়ার আপসহীন মনোভাব। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তরণের ইঙ্গিত থাকলেও ফল আসেনি বিএনপির অনুকূলে। পেয়েছে জরুরি সরকারের সঙ্গে সমঝে চলা আওয়ামী লীগ। বিএনপি রাজনৈতিক উত্তরণ ঘটিয়েছে সত্য কোণঠাসা হয়েছে সংসদে। কৌশলে বাংলাদেশে অবস্থানের সুযোগ কেড়ে নেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট জিয়ার দুই ছেলের। সে অর্থে উত্তরণ ছিল মোটামুটি।
তৃতীয় সঙ্কট: এবার সঙ্কট ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই। কিন্তু বন্ধ হয়নি বিএনপির ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার। থামেনি বিএনপি ভাঙা ও দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। বিএনপি যখন ইমেজ পুনরুদ্ধারের ইতিবাচক প্রচেষ্টায় মগ্ন তখন দেশের সমস্ত নদীর জল গড়িয়েছে অনেকদূর। খালেদা জিয়া হারিয়েছেন ৪০ বছরের বাড়ি। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিএনপির রাজনীতি। বাতিল হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। গুম-খুন ও কারাগারে ধুঁকে মরছেন দলের বহু সক্রিয় নেতা। এবার গণতান্ত্রিক সরকারের পাল্টে গেছে আচরণ। পাল্টেছে নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন। আলোচনার গুজব ভাসে, বাস্তবতা হালে পানি পায় না। এখন রাজপথে নামতে বাঁধা। উপর্যুপরি দায়ের হচ্ছে মামলা। ছোট ও কল্পিত অপরাধে কারাগারে নেয়া হচ্ছে সিনিয়র নেতাদের। চালু হয়েছে রাজনৈতিক গুম, রিমান্ড ও ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর রেওয়াজ। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম বিরোধীদলের কেন্দ্রীয় অফিসে হানা দিয়েছে পুলিশ। অতীতের সঙ্কটে ইস্যু ছিল কম। এখন ইস্যুর ভিড়। এক ইস্যুতে চাপা পড়ছে আরেক ইস্যু। কিন্তু ডজন ডজন বড় ইস্যুকেও কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধী দল বিএনপি। উল্টো ইস্যুর ঘুরপাকে খাবি খাচ্ছে দলটি। শরীর ও সম্পদ বাঁচাতে রাজপথ থেকে দূরে থাকছেন নেতারা। মামলা হলেই যাচ্ছেন আত্মগোপনে। সরকারও সুযোগ নিচ্ছে তার। সারাদেশের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে রাজধানীতে। কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে না কেন্দ্রে। পুরো দেশের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না ঢাকা মহানগর বিএনপি। সিটি করপোরেশন কেন্দ্রিক সুবিধাভোগী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কারণেই এ পরিণতি বলে মন্তব্য করছেন কেউ কেউ। এত আন্দোলন, ধৈর্য, ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও বিএনপি আস্থা ফেরাতে পারেনি জনগণের। চাঙ্গা করতে পারেনি বঞ্চিত নেতাকর্মীদের। আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে নেতৃত্বে। নেতারা পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। রাজনৈতিক মহলে এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে, বিএনপি কিসের ওপর নির্ভর করতে চায়? এ ব্যাপারে বিএনপির নির্ভরতা অনেকটাই সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষ ও কূটনীতিকদের সমর্থন। যাহোক, বর্তমান সঙ্কটে একা নয় বিএনপি। বিদেশীরা দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা করেছে সরকারকে। মহাজোটের একটি অংশ সমর্থন দিচ্ছে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহালের দাবিতে। ধর্মীয় ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে নির্দলীয় আলেম সমাজ। রাজনৈতিক মহলের মতে, মঞ্চ প্রস্তুত। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে নেতৃত্ব। তারা চান গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই এত রয়ে-সয়ে পথচলা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, এরশাদ জমানায় খালেদা জিয়া ছিলেন মধ্যবয়সী। প্রচুর সময় দিতে পারতেন রাজনীতিতে। এখন অনেকখানি সীমাবদ্ধ। এরশাদ জমানায় বিএনপি নেতাদের বেশির ভাগই ছিলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক। এখন দলের নেতৃত্ব অনেকটাই আমলা নির্ভর। নেতারা রাজপথের চেয়ে ক্যামেরার সামনেই স্বচ্ছন্দ। বেশির ভাগ অঙ্গ-সহযোগী দলের সাংগঠনিক কাঠামো অসম্পূর্ণ। তাছাড়া সংস্কারপন্থি নেতারা দলের সক্রিয় অবস্থান ফিরে পাওয়ায় হতাশা তৃণমূলে। বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষপর্যায়ের অন্তত ৩০ এবং সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশ হাজারের বেশি নেতাকর্মী কারাগারে। গুজব ছড়িয়ে পড়েছে খালেদা জিয়াকেও কারাগারে পাঠানো হবে। সর্বত্রই গ্রেপ্তার আতঙ্ক। সবচেয়ে বড় কথা এরশাদ আমলে সঙ্কট উত্তরণে একত্রে বসেছিলেন দুই নেত্রী। জরুরি সরকারের আমলেও কারাগারে পরস্পরের খোঁজ-খবর নিতেন তারা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন, সমান্তরাল নয়, দু’জনের পথ বেঁকে গেছে দু’দিকে। তাই অন্ধকার সুড়ঙ্গের কোন প্রান্তেই আলো দেখছেন না কেউই। সবখানেই এখন প্রশ্ন, কি হবে সামনে? বিএনপি কি অতীতের ধারাবাহিকতায় সঙ্কট উত্তরণ করতে পারবে? নাকি রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারাবে দেশের অন্যতম প্রধান দলটি। এমন গুমোট অন্ধকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর নীরবতা ভেঙেছেন বিদেশে অবস্থানরত তারেক রহমান। তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সৌদি সফরের মাধ্যমে ফের সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের এ সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি এখন অপেক্ষায়। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশে ফিরে নাকি বিদেশে থেকেই পরিচালনা করবেন আন্দোলন? বিএনপি নেতারা বলছেন, পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক নেতা বিদেশে বসে আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.