ওয়ানডে সিরিজ- বেইলির পর স্টার্ক

৮৪ বলে দরকার ৮২ রান। ৩৭তম ওভারের প্রথম চার বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছক্কা মেরে দিলেন সুনীল নারাইন। জয়ের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যবধানটা কমে হলো ৮০ বলে ৫৮।
যেকোনো বিচারেই অর্জনযোগ্য। তবে সমস্যা ছিল একটাই, ক্যারিবীয়রা ততক্ষণে যে হারিয়ে ফেলেছে ৮ উইকেট। একটু রয়েসয়ে খেললে কী হতো বলা মুশকিল। তবে চার ছক্কার ওই ওভারের শেষ বলেই আবারও উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন নারাইন। হলেন স্টাম্পড, উইকেটে এসে গেল শেষ জুটি। ৭ বল পর জেসন হোল্ডারের রানআউটেই সব শেষ। কাল পার্থের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার অবশ্য একটু লড়াই করে, ৫৪ রানে! আগামী পরশু ক্যানবেরায় তৃতীয় ওয়ানডের জন্য হয়তো আরও লড়াই জমিয়ে রেখেছে ক্যারিবীয়রা!
জিততে হলে করতে হতো ২৬৭। আগের ম্যাচের মতোই কালও মিচেল স্টার্কের তোপে উড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ-অর্ডার। ৩৩ রানেই পড়ে ৩ উইকেট। স্টার্কের গতি ও সুইংয়ে বিভ্রান্ত ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ান ও ড্যারেন ব্রাভোরা হয়েছেন এলবিডব্লু। এঁদের মধ্যে গেইল ও সারওয়ান আবার আউট ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এক বলের ব্যবধানে। টানা দুই ম্যাচে শূন্য, জাতীয় দলে সারওয়ানের প্রত্যাবর্তনটা হলো বিস্মরণযোগ্য।
এরপর অবশ্য ওপেনার কাইরান পাওয়েল ও ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। চতুর্থ উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়ার পর ব্রাভো যখন আউট হলেন, ২২ ওভারে দরকার ১০৮ রান। ৩০তম ওভারে আক্রমণে ফিরেই আবার তোপ দাগেন স্টার্ক। পরপর দুই বলে পাওয়েল ও ডেভন টমাসকে আউট করে হ্যাটট্রিকেরই সামনে দাঁড়ান বাঁহাতি পেসার। হ্যাটট্রিক না হলেও ৫ উইকেট পেয়েছেন এ ম্যাচেও। টমাসের আউটটা অবশ্য প্রশ্নবিদ্ধ। বল ব্যাটে না গ্লাভসে লেগেছে, সেটা ধরা পড়েনি হট স্পটে। তবে তৃতীয় আম্পায়ার আসাদ রউফ আউট দিয়ে দেন এই উইকেটকিপারকে।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ৯৮ রানেই তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৬ উইকেট। মনে হচ্ছিল ড্যারেন স্যামির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘুরেই দাঁড়াবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেটা হতে দেননি জর্জ বেইলি। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতেই আড়াই শ ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে জেমস ফকনারকে নিয়ে ঠিক ১০০ রান যোগ করা বেইলি সপ্তম উইকেটে জনসনের সঙ্গে মাত্র ৩৪ বলেই যোগ করেন ৬৮ রান। ওয়েবসাইট, এএফপি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৬৬/৭ (ফিঞ্চ ১১, খাজা ৩, হিউজ ২১, ক্লার্ক ১৬, বেইলি ১২৫*, ওয়েড ১৬, ম্যাক্সওয়েল ০, ফকনার ৩৯, জনসন ১৬*; রোচ ১/৫১, হোল্ডার ১/৫৬, স্যামি ৩/৪৮, ডোয়াইন ব্রাভো ১/৬৭, নারাইন ১/৩৪)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৮.১ ওভারে ২১২ (গেইল ৪, পাওয়েল ৮৩, সারওয়ান ০, ড্যারেন ব্রাভো ১৪, ডোয়াইন ব্রাভো ৪৫, পোলার্ড ১, টমাস ০, স্যামি ৮, হোল্ডার ৯, নারাইন ২৪, রোচ ০*; ম্যাকাই ০/৩২, স্টার্ক ৫/৩২, ফকনার ০/৪০, জনসন ০/৩২, ম্যাক্সওয়েল ৪/৬৩)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জর্জ বেইলি।

No comments

Powered by Blogger.