বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের লালনপালনকারীরা স্বাধীনতা চায়নি- ৭ মার্চের আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, লালন-পালন করেছে তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি।
তারা এখনও বসে থাকবে না। তাদের ষড়যন্ত্র থাকবে, গায়ের জ্বালা থাকবে। সংসদে তাঁদের আচরণই তা প্রমাণ করে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবেও।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলৰে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকমর্ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যক্তি জীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না, সেটা বড় কথা নয়। দেশ ও জনগণকে কী দিলাম, কী করতে পারলাম সেটাই বড় কথা। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়েই জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল শত্রম্নরা। এরপর পরাজিত শত্রম্ন ও তাদের দোসররা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে দু'এক প্রজন্মকে বিভ্রানত্ম করতে পারলেও সবাইকে পারেনি। পরাজিত পাকিসত্মানী ভাবধারা ও নীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। এভাবে বারবার বাঙালী জাতির ওপর আঘাত এসেছে, কিন্তু দাবায়ে রাখতে পারেনি। প্রতিবারই বীর বাঙালী ঘুরে দাঁড়িয়েছে, অধিকার আদায় করেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, জন্মই তাদের অবৈধ ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের ম্যান্ডেট বা ভোটের অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। যেনতেনভাবে ৰমতায় এসে জনগণের অর্থ-সম্পদ লুটে খাওয়া, নিজেরা ভোগবিলাসে ব্যসত্ম থাকা এবং প্রতিপৰকে একেবারে শেষ করে দেয়াই ওদের চরিত্র। এখনও তাদের নানা ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ৰুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে কৃতজ্ঞ বাঙালী জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। রবিবার প্রথম প্রহর থেকে শুরম্ন করে পুরো দিন-রাত দেশের আনাচে-কানাচে, অলি-গলি, পাড়া-মহলস্নায়, শহরে-বন্দরে মাইকে বেজেছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক সংবলিত সেই ঐতিহাসিক বজর্্রনির্ঘোষ ৭ মার্চের ভাষণ। সকালে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে দেশের মানুষের পৰ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন জাতির জনকের প্রতি।
বিকালে বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদ এনামুল কবীর, নগর আওয়ামী লীগের এম এ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। নূহ-উল-আলম লেনিনের পরিচালনায় আলোচনায়সভায় বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য উলেস্নখ করে বলেন, যেনতেন ঘোষণা দিয়ে কখনো কোন দেশের স্বাধীনতা আসে না। এ স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালী জাতিকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম নিয়েছিল। কেননা ওই ভাষণের পর তৎকালীন পূর্ববাংলায় বর্তমান বাংলাদেশে পাকিসত্মানী শাসকগোষ্ঠীর কোন নির্দেশ পালিত হতো না, পাকিসত্মানের কোন অসত্মিত্বই এ বাংলায় ছিল না। বাংলাদেশের সবকিছু চলত ৩২ নম্বর থেকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তিনি বলেন, '৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে দেশের মানুষ নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট দিয়েছিল। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার একমাত্র অধিকারও ছিল বঙ্গবন্ধুর, আর কারও নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করতেন, ভোগ-বিলাস বা পদের জন্য নয়। চাইলে তিনি পুরো পাকিসত্মানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রামের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম এমনকি ফাঁসির দড়ি পর্যনত্ম তিনি বেছে নিয়েছিলেন কিন্তু দেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কখনও আপোস করেননি। বঙ্গবন্ধু আগেই জানতেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলেও ৰমতা দেয়া হবে না, যুদ্ধ করেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে। তাই ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানে বসেই কিভাবে যুদ্ধ হবে, অস্ত্র কোথা থেকে আসবে, অস্ত্রের ট্রেনিং ও শরণাথর্ীদের কারা আশ্রয় দেবেন- তা সবকিছুই চূড়ানত্ম করে গিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগাম ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে চাননি। বিচ্ছিন্নতাবাদী হলে দেশকে স্বাধীন করা যেত না, যুদ্ধেও কোন বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিত না। ৭ মার্চের ভাষণে সশস্ত্র যুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হলেও সঠিক সময়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২৫ মার্চ পাকিসত্মানীরা বাংলাদেশকে আক্রমণ করা মাত্রই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যার ফলে যুদ্ধ শুরম্ন হওয়া মাত্রই ভুটান ও ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বঙ্গবন্ধুই যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন তা শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নথিপত্রেও তা সুস্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে।
ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরম্নদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরম্নদ্ধে, ঘোষণা নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করে তাদের উদ্দেশ্য একটাই। এরাই একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। পরাজিত পাকিসত্মানীদের নীতি-আদর্শ বাঙালীদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রানত্ম করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। বারবারই এ গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র-চক্রানত্ম বাঙালী জাতি মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের পৰের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান হয়ে ৰুধা-দারিদ্র্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ব দরবারে হাত পেতে নয়, আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। সবাইকে লোভ-লালসা বা ব্যক্তি চাওয়া-পাওয়া ভুলে গিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ৰুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবই।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে। এবার যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক নামে ভাঙ্গা রেকর্ড এখনও বাজিয়েই চলেছে। এ নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। স্বশিৰিত মা ও বহিষ্কৃত ছেলের কোন ষড়যন্ত্রই টিকবে না।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনীদের বিচারের রায় কার্যকরের পর এখন মহাসঙ্কটে খালেদা জিয়া। তাঁর জানি দোসত্ম যুদ্ধাপরাধীরাও আজ মহাবিপদে। খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে সত্য, ন্যায় ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মেনে নিয়েই রাজনীতিতে আসতে হবে। তাঁদের কৃত্রিম রাজনীতি জনগণ আর গ্রহণ করবে না।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এ দেশ কোন কর্নেল বা মেজরের ঘোষণা বা হুইসেলে স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ৰতি করে গেছেন জেনারেল জিয়া। তিনি গ্রামগঞ্জসহ প্রতিটি স্থানে পরাজিত অপশক্তির যে কোন আঘাত মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য নেতাকমর্ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে হবে। কথা নয়, কাজের মাধ্যমে পরাজিত বিএনপি-জামায়াত জোটের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে প্রতীকী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচার হবে। নুরেমবার্গসহ অন্যান্য আনত্মর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত মূল এক বা একাধিক ব্যক্তির বিচার করা হবে। তিনি বলেন, যত দ্রম্নত সম্ভব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন হবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মানে লাখ লাখ লোকের বিচার হবে তা নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, লুটপাট, অগি্নসংযোগ, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদেরই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মনত্মব্য করেন।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এর পর ২৬ মার্চ প্রথর প্রহরে বঙ্গবন্ধু বিডিআর-এর ওয়ালেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ফলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করা যায় না এবং কখনও যাবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যারা অন্যকে ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা করছেন তারা এরপর থেকে বিরত থাকবেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা দৃষ্টতার শামিল। জোর করে কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানো যায় না।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ মার্চ পালন বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম জাতির প থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের প থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী কিছুণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে ভোর সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পসত্মবক অর্পণের পর একে একে মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীন বাংলা চিকিৎসক পরিষদসহ দলের সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বসত্মরের মানুষ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

No comments

Powered by Blogger.