ওজন কমাতে যত কথা

০ ডিএনএ পরীৰাই বলে দেবে কোনটি হবে আপনার সর্বোৎকৃষ্ট খাদ্য কেবল একটি ডিএনএ পরীৰাতে প্রকাশ পাবে কে কেমন ওজন কমাতে সৰম হবে কে কেমন খাদ্য গ্রহণ করে।
ডিএনএ টেস্ট বলবে আপনি বেশি লাভবান হবেন কোনটি খেলে_অল্প চর্বি জাতীয় খাদ্য না অল্প শর্করা জাতীয় খাদ্য। তথ্যটি প্রকাশ করেছেন আমেরিকার গবেষকরা। গবেষণাটি করা হয়েছে ১০১ মহিলার ওপর পরীৰা করে। জিন পরীৰা করে দেখা হয়েছে কোন খাদ্য গ্রহণ তার ওজন বৃদ্ধি প্রতিহত করে। এভাবে জিনভিত্তিক খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ায় দেখা যায় তার উপযুক্ত খাদ্যটি গ্রহণ করলে ওজন ২ থেকে ৩ গুণ বেশি কমবে।
আমেরিকার হার্ট এ্যাসোসিয়েশনের কনফারেন্সে তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অনেকদিন ধরে ধারণা করা হচ্ছিল, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন খাদ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং এটা করে সম্ভবত তার শরীরের জেনেটিক মেকআপ অনুযায়ী।
যেমন ধরম্নন ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বেশি এশিয়ার মানুষদের মধ্যে। ইউরোপীয়ানদের মধ্যে নেই তেমন।
গবেষণাটি লৰ্য করেছে কিভাবে বিভিন্ন জেনেটিক গঠনের মানুষ বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় কেমন করে।
স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১০১ সাদা মহিলার চিবুকের সেলের ডিএনএ শনাক্ত করেন।
এই মহিলারা ১ বছরে বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করে। এই খাদ্যগুলো ছিল অতি অল্প শর্করা খাদ্য, অতি অল্প শর্করা/উচ্চ প্রোটিন এবং অল্প চর্বিযুক্ত অথবা অতি অল্প চর্বিযুক্ত খাদ্য।
এদের ভাগ করা হয়েছে আবার তিনটি জেনোটাইপ গ্রম্নপে_এক হলো অল্প কার্বোহাইড্রেটে সক্রিয়, অল্প ফ্যাটে সক্রিয় এবং সুষম খাদ্যে সক্রিয় গ্রম্নপে।
এখানে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যগুলো যেখানে তাদের জেনোটাইপের সঙ্গে খেটে যাচ্ছে সে ৰেত্রে ওজন কমে যাচ্ছে ২/৩ গুণ। আবার যাদের সঙ্গে খাটছে না তাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
আসল কথা হলো_প্রত্যেকের তাহলে সঠিক খাদ্য ও ভুল খাদ্য নির্ধারণ করা যাবে জেনেটিক স্টাডির মাধ্যমে। একজনের সঠিক খাদ্য আর একজনের সেটা ভুল খাদ্য হতে পারে।

০ যোগ ব্যায়াম করম্নন, ওজন ঠিক রাখুন
যোগাসন মন ও শরীরের টনিক। আপনার ওজন কমাতেও কিন্তু যোগ ব্যায়ামের কথা ভাবতে পারেন। ফ্রেড হাসিনসন রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা তো তাই বলেন, তাঁরা ৩০০ জনের ওপর গবেষণা চালান, যারা বিভিন্ন ব্যায়ামাগারে, যোগ ব্যায়ামাগারে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম সাধনা করেন। দেখা যায় যোগীরাই অন্যান্য শরীর চর্চার সাধকদের চেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করছে বেশি। কারণ মনের ওপর তাদের কন্ট্রোলের জন্য তারা অবগত থাকেন কখন আধপেটা খেতে হবে, কখন ভরা পেট খেতে হবে, কখনওবা অতিরিক্ত স্ট্রেসে কিভাবে খাদ্য গ্রহণ, ক্যালরি খরচের মধ্যে সমতা আনতে হবে।

০ মধ্যরাতের স্নাকস আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয়
গবেষকরা সব সময় বলে আসছে ওজন বাড়া হলো ক্যালোরি গ্রহণ ও ক্যালোরি খরচের বিয়োগ ফল। ইদুঁরের ওপর গবেষণায় দেখা যায় ক্যালোরি জন্মে বেশি যদি ইঁদুর ঘুমের সময় খাদ্য গ্রহণ করে। নর্থওয়েস্ট ভার্সিটির গবেষকরা ইঁদুরকে দিনের বেলায় প্রচুর খাইয়েছিল। দিনের বেলায় ইঁদুর স্বভাবত গর্তে ঘুমায়। আর এক ইঁদুর দলকে রাতে খাওয়াল। রাতে স্বভাবত তারা খুব সচল থাকে। দেখা গেল, দুই পৰকে যদিও একই পরিমাণ খাওয়ানো হলো এবং একই রকম শরীর চর্চা রেকর্ড করা হলো কিন্তু ওজন রাতের গ্রম্নপের তুলনায় দুপুরের গ্রম্নপের প্রায় ২
গুণ বাড়ল। এটা মানুষের ৰেত্রে সত্যি। রাত্রিকালীন ঘুমের সময় স্নাক্স আমাদের ওজনকে যথেষ্ট বাড়িয়ে দেয়।

০ চেরির কত গুণ
চেরি ফলের সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হচ্ছে। চেরি ফলের আছে প্রদাহবিরম্নদ্ধ গুণাবলী। তার ফলে চেরি খেলে আপনার আথর্্রারাইটিস ও বাতের ৰেত্রে উপশম পাবেন। আবার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে চেরি খেলে ঘুমও ভাল হচ্ছে। চেরি হলো প্রাকৃতিকভাবেপ্রাপ্ত ফলগুলোর একটি যে কিনা মেলাটোনেন ধারণ করে। মেলাটোনিন আবার দেহের দিবা নৈশের ছন্দ ঠিক রাখে। টেক্সাস হেলথ সায়েন্স সেন্টারের ডা. রাসেল রিটার বলেন, খুব কম ফলে মেলাটলিন পরীৰায় পাওয়া যায় কিন্তু চেরি ফলে বিশেষ করে টক চেরিতে প্রচুর পরিমাণ মেলাটোলিন পাওয়া যায়। রাতে স্ন্যাকস হিসেবে টোস্টে চেরি জ্যাম লাগিয়ে নিন, দেখবেন কেমন ভাল ঘুম হয়। গবেষণায় দেখা যায়, মেলাটোলিন শুতে যাবার আগে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়।

No comments

Powered by Blogger.