বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় বাংলায় রূপান্তর : by এনামুল হক

দেখা যায় যে, স্বীকারোক্তি করতে ইচ্ছুক আসামিকে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে ওই বাস্তবতা সম্পর্কে আশ্বাস লাভ করা যে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে কোনরকম প্ররোচনা, হুমকি বা প্রতিশ্রুতির কারণে এই স্বীকারোক্তি দেয়া হয়নি।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৫ অধ্যায়ের সাধারণভাবে নিয়মবহিভর্ূত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু অনিয়ম আছে সেগুলোর কারণে মামলার কার্যক্রম ত্রুটিপূর্ণ বা আকার্যকর হয় না। এগুলো ৫২৯ ধারায় উলেু্লখ করা আছে। এই শ্রেণীর মামলাগুলোতে আসামির তিগ্রস্ত হবার কোন প্রশ্ন ওঠে না। কারণ এই ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, এগুলোর কারণে মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ বা অকার্যকর হবে না। আরও কতিপয় অনিয়ম আছে যেগুলো অপরিহার্য বলে বিবেচিত। এসব েেত্র আসামির তির কারণ ঘটুক আর না ঘটুক মামলার কার্যক্রমই অকার্যকর হয়ে যায়। ৫৩০ ধারায় এগুলোর উল্লেখ আছে। ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৫ ও ৫৩৬ (২) ও ৫৩৭ ধারায় তৃতীয় একশ্রেণীর অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে মোটামুটিভাবে প্রশ্নটা হচ্ছে ভুলের কারণে আসামির কোন তি হয়েছে কিনা কিংবা ন্যায়বিচারের ব্যর্থতার কোন কারণ ঘটেছে কি না। ফৌজদারি কার্যবিধি কয়েক ধরনের ভ্রান্তিক সতর্কতার সঙ্গে শ্রেণীবিন্যস্ত করেছে এবং এসব ভ্রান্তির েেত্র কি করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের প্রতিটি েেত্র আদালত আইনসভার সুস্পষ্ট নির্দেশনাকে কার্যকারিতা দিতে বাধ্য। এ নিয়ে আরও জল্পনা-কল্পনার কোন অবকাশ নেই। শুধুমাত্র একশ্রেণীর মামলায় আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে আর সেগুলো হলো এমন মামলা যার েেত্র সুস্পষ্ট কোন বিধান রাখা হয়নি। বর্তমানের সুনির্দিষ্ট মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির শুধুমাত্র ৫৩৩ ধারাটিকে বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রথম বিজ্ঞ বিচারক এ ব্যাপারে বিধির ৫৩৭ ধারার কথা উল্লেখ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ স্বীকারোক্তি রেকর্ডকালে সংঘটিত কোন ভুলভ্রান্তি বা অকারণ বা অনিয়মের েেত্র এই ধারা কোনভাবে প্রয়োজ্য হবে না।
(ক্রমশ)

No comments

Powered by Blogger.