কোকোর ঘুষের অর্থ- সুদের ১৫ লাখ টাকাও ফেরত এনেছে দুদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাব থেকে আরও প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফেরত এসেছে।
এই অর্থ ওই ব্যাংক হিসাব থেকে এর আগে ফেরত আনা ১৩ কোটি টাকার সুদ হিসাবে ব্যাংকে জমা ছিল বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক (ইউওবি) থেকে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় দুদকের স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি অ্যাকাউন্টে এই অর্থ জমা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কোকোর নেওয়া ঘুষের অর্থের মধ্যে ১৩ কোটি টাকা দেশে ফেরত আসা-সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র পেয়েছে দুদক। দুদক গত রোববার সোনালী ব্যাংকের পাঠানো এই প্রত্যয়নপত্র পেয়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স, চায়না হারবারসহ তিনটি উৎস থেকে কোকো প্রায় ২৫ কোটি টাকা ঘুষ নেন। এর মধ্যে গত ২১ নভেম্বর ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩১ টাকা ফেরত আনে দুদক। সেই টাকা জমা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায়।
প্রত্যয়নপত্র পাওয়ার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। প্রত্যয়নপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর অনুলিপিসহ সিঙ্গাপুরে জব্দ করা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্যও দুদকের হাতে এসেছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুখেন্দু বিকাশ সাহার সই করা ওই প্রত্যয়নপত্রে বলা রয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশে দুদকের ‘স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি’ হিসাবে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩১ টাকা (২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুরি ডলার) ২১ নভেম্বর পাঠানো হয়।
কোকোর অর্থ ফেরত আনার পর বিএনপির নেতারা দাবি করেছিলেন, ওই অর্থ কোকোর নয়, এটা সরকারের ষড়যন্ত্র।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুব দ্রুত চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কাছ থেকে কোকোর ঘুষ নেওয়া নয় লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলারও বাংলাদেশে আসছে।’
সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা কোকোর এসব অর্থ দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল দুদক কর্তৃপক্ষ।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় কোকো এবং সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০১১ সালের ২৩ জুন কোকো ও সায়মনকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.