অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন হলেও তা কোনো কাজে আসবে না

যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিরোধিতা করেছে দেশটির অস্ত্রবিষয়ক সবচেয়ে বড় লবিস্ট গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)। এ ধরনের আইন 'প্রতীকী' হবে এবং বাস্তবে এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছে তারা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধের ঘটনায় কঠোর অস্ত্র আইন প্রণয়নের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে গত ১৪ ডিসেম্বর কানেকটিকাটের নিউটাউন শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে এক অস্ত্রধারীর হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জনের মৃত্যুর পর সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি ওঠে। ওবামা প্রশাসন ইতিমধ্যেই এ ধরনের আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে। আগামী মাসেই কংগ্রেসে এ ধরনের বিল তোলার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করল এনআরএ। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বন্দুক হামলার ঘটনা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সব স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে সংগঠনটি।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টেলিভিশনের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এনআরএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েইন লাপিয়েরে বলেন, 'আমার মনে হয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের আইনটি প্রতীকী বিষয় হয়ে থাকবে। আইন পাস হলেও তা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না। মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।' ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত আইন চালু থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৯ সালে কলোরাডোর একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয় বলেও উল্লেখ করেন লাপিয়েরে। ওই আইনের আওতায় ১৯টি মডেলের আগ্নেয়াস্ত্র নতুন করে উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল।
ওবামা প্রশাসন বেসামরিক লোকদের কাছে নির্দিষ্ট কতগুলো মডেলের অস্ত্র বিক্রির ওপর এবং একসঙ্গে বেশিসংখ্যক বুলেট বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় কি না, তা বিবেচনা করছে। ১৯৮২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের ওপর বেপরোয়া গুলির ৬২টি ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.