কালিং কাপের শিরোপা ম্যানইউর

দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, বলতে গেলে এ মৌসুমে একাই টানেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ম্যাচের পর ম্যাচ খেলছেন বলেই হয়তো এ ম্যাচে ওয়েইন রুনিকে বিশ্রামে দিতে চেয়েছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। কিন্তু এ মৌসুমে রুনি আর রেড ডেভিলদের জয় যে একসূত্রে গাঁথা। এভারটনকে হারিয়ে কালিং কাপের শিরোপা জিতল ম্যানইউ রুনির গোলেই। ৫ মিনিটে দিমিতার বারবেতভের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে এভারটনকে এগিয়ে দেন জেমস মিলনার। তবে ১৩ মিনিটেই গোলটি শোধ করে দেন মাইকেল ওয়েন। এই ওয়েনের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগাতেই বেঞ্চ থেকে মাঠে নামতে হয় রুনিকে। ৭৪ মিনিটে ১০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক হেডে ব্রাড ফ্রিডেলকে পরাস্ত করেন রুনি।
চেলসির সঙ্গে হারলেন টেরিও: জন টেরির ওপর প্রতিশোধ নিলেন ওয়েইন ব্রিজ! না, মারামারি কাটাকাটি কিছু নয়। পরশু চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই ইংলিশ ডিফেন্ডার। আর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের সে লড়াইয়ে টেরির চেলসিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধের আনন্দেই যেন ভাসলেন ম্যান সিটির ব্রিজ।
ভেনেসা পেরনসেল ব্রিজের সাবেক প্রেমিকা। এই পেরনসেলের সঙ্গে টেরির গোপন প্রণয়ের খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকেই টেরি-ব্রিজের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সেই জের ধরেই পরশুর ম্যাচটিতে ছিল উত্তেজনার বারুদ। ম্যাচ শুরুর আগে ব্রিজ টেরির সঙ্গে হাত না মেলানোয় সেই উত্তেজনা বেড়ে যায় আরও।
চেলসি-ম্যান সিটি লড়াইয়ে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ৪২ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছিলেন চেলসিকে। ৪৫ মিনিটে সিটিকে সমতায় ফেরান তেভেজ। বেলামি দলকে এগিয়ে দেন ৫১ মিনিটে। এরপর ব্যবধান বাড়ানো গোল দুটির একটি তেভেজ ৭৬ মিনিটে করেন পেনাল্টি থেকে এবং অন্যটি বেলামি করেন ৮৭ মিনিটে। ৯০ মিনিটে ল্যাম্পার্ড চেলসির পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পারেন। তবে ৩৮ ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম চেলসির নিজেদের মাঠে হেরে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি।
২৮ ম্যাচে চেলসির ৬১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানইউ। স্টোক সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল (৫৮)। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে ম্যান সিটি।

No comments

Powered by Blogger.