অস্ত্র সমর্পণে রাজি হামাস, তবে...

অস্ত্র সমর্পণে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। তবে একটি শর্ত আছে। তা হলো আগে গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের সামরিক দখলদারিত্ব শেষ করতে হবে। প্রত্যাহার করতে হবে ইসরাইলি সেনাদের। তারপরই হামাস অস্ত্র সমর্পণ করবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, হামাসের প্রধান আলোচক ও গাজার শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের অস্ত্র দখল ও আগ্রাসনের অস্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত। দখল শেষ হলে, এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কর্তৃত্বাধীন সংস্থার হাতে তুলে দেয়া হবে। এএফপি ব্যুরোকে দেয়া ব্যাখ্যায় হাইয়ার দপ্তর জানায়, তিনি একটি ‘সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের’ কথা বলছেন। হাইয়া আরও বলেন, আমরা জাতিসংঘের বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি। তারা সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করবে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখবে। তবে তিনি স্পষ্ট জানান যে, গাজায় এমন কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না যাদের লক্ষ্য হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা।

ওদিকে সৌদি আরবের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান। যা আন্তর্জাতিকভাবে আগে থেকেই স্বীকৃত। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানাল রাদওয়ান দোহা ফোরাম ২০২৫-এ বক্তব্য রাখেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা পরিষ্কার। এর বাইরে গিয়ে নতুন করে সংজ্ঞা তৈরি করার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে যে বিষয়গুলোতে সমঝোতা হয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে প্রস্তাব গৃহীত ও সবাই স্বাগত জানিয়েছে- এসবের পুনঃআলোচনা বা পুনঃসংজ্ঞায়ন নেয়া যাবে না।

রাদওয়ান বলেন, আমরা আর ফিরে গিয়ে যুদ্ধবিরতি, নিরস্ত্রীকরণ কিংবা গাজায় ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে প্রশাসন পরিচালনার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করতে পারি না। তিনি আরও যোগ করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই মনে করেন দুই রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র বাস্তব পথ। যদি তা-ই হয়, তাহলে এখন প্রশ্ন- এটি বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন পক্ষ কী করবে?

https://mzamin.com/uploads/news/main/192967_sd.webp

No comments

Powered by Blogger.