বন্যা ও ভূমিধসে এশিয়ার তিন দেশে মৃতের সংখ্যা ছয় শতাধিক
এতে বলা হয়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন দেশের বহু অঞ্চলে পানি নামতে শুরু করলেও এখনো বিপুল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন। তিন দেশে মোট ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে দক্ষিণ থাইল্যান্ডে প্রায় ৩০ লাখ এবং পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় ১১ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে দুর্ভোগে রয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের ওপারে শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৯১ জন। দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা একদিনে ৩০৩ থেকে বেড়ে ৪৩৫ জনে পৌঁছেছে। পশ্চিম সুমাত্রার তিন প্রদেশে টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় কোথাও কোথাও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পালেমবায়ান শহরের উপর দিয়ে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার উড়ে যাওয়ার সময় দেখা গেছে- বড় বড় এলাকা এখনও পানির নিচে, সেখানে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। হেলিকপ্টার নামতেই খাদ্যের অপেক্ষায় থাকা ভিড় জমায় স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্তদের হতাশা থেকে কোথাও কোথাও ত্রাণবাহী লাইন লুটের ঘটনাও ঘটেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখনো ৪০৬ জন নিখোঁজ এবং অন্তত ২ লাখ ১৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ হয়েছে। শুধু সংখলা প্রদেশেই ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার একদিনে হাট ইয়াই শহরে ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। যা গত ৩০০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এদিকে মালয়েশিয়ায় দুর্যোগ কিছুটা কমলেও এখনও ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ঝড় ও অবিরাম বৃষ্টির সতর্কতা তুলে নিয়েছে এবং বেশির ভাগ এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে মালয়েশিয়ার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডে আটকা পড়া ৬২০০ এর বেশি মালয়েশিয়ান নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় বসবাসরত নাগরিকদের দূতাবাসে নিবন্ধনের আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে জানানো হয়- এলাকার একটি ভূমিধসে ৩০ বছর বয়সী এক মালয়েশিয়ান নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন।

No comments