চীনের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাতে জোর দেয়ার অঙ্গীকার
ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়, দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি ও নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে, যদিও রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ঘোষণাপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ওয়াশিংটন চীনের সেমিকন্ডাক্টরসহ আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের প্রবেশাধিকার ক্রমশ সীমিত করছে।
আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুল্কবিরোধ সত্ত্বেও তিনি একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য চুক্তি করতে চান।
বিরল খনিজ উৎপাদনে চীনের প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। যা বিশ্ব প্রতিরক্ষা শিল্প ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে অপরিহার্য। আসন্ন বৈঠকে বেইজিং এই খাতকে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
গত সপ্তাহে চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি দেন। তবে গত সোমবার ট্রাম্প বলেন, দুই দেশকে একসঙ্গে এগোতে হবে। পাশাপাশি বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে তিনি আগামী বছর চীন সফরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের বিরল খনিজ আধিপত্য ভাঙতে অন্য দেশগুলোর অন্তত এক দশক সময় লাগবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে চীনের প্রচেষ্টা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। পাশাপাশি দেশটির জন্য দক্ষ জনবল ঘাটতি এবং পরিবেশগত ঝুঁকি রয়েছে।

No comments