গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলের বিক্ষিপ্ত হামলা
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী ছিলেন। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার গণমাধ্যম দপ্তর।
হামাসের অধীনে কাজ করা জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল গতকাল এএফপিকে বলেন, গত শুক্রবার জেইতুন এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের বহনকারী একটি বাসে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হামলা চালিয়েছে। পরে বাসের ভেতর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁদের কর্মীরা। নিহত ব্যক্তিরা আবু শাবান গোত্রের সদস্য। জেইতুন এলাকায় নিজেদের বাড়ি দেখার চেষ্টা করার সময় তাঁদের হত্যা করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাসটি ‘হলুদ লাইন’ অতিক্রম করেছিল। হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় ওই এলাকায় তাদের সেনারা অবস্থান করছিলেন। বাসটি এমনভাবে এগোতে থাকে, যা সেখানে থাকা সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করে। চুক্তি অনুযায়ী হুমকি দূর করার জন্য সেনারা তখন গুলি চালান।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়ি খুঁজতে উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। কিন্তু দুই বছরের বেশি সময় ধরে হওয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে বাড়ি খুঁজে পাওয়া অনেকের জন্যই কঠিন হয়ে উঠেছে। কয়েকজন বাসিন্দা এএফপিকে জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে তাঁরা নিজেদের বাড়ি কিংবা পরিচিত কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে পারছেন না।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের কাছে আরও এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। গত শুক্রবার রাতে মরদেহটি ইসরায়েলে পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
| যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় অস্থায়ী তাবু টানিয়ে গাজা নগরীতে বসবাস শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স |
No comments