আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২২
কুনার ও নানগারহার প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তাঁরা গতকাল রাতে অনেকগুলো পরাঘাত অনুভব করেছেন।
নানগারহার প্রদেশের বাসিন্দা পোলাদ নুরি নামে ২৮ বছরের একজন বলেন, তিনি ১৩টি পরাঘাত অনুভব করতে পেরেছেন। এ কারণে মধ্যরাতে তিনি ঘর ছেড়ে সড়কে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁর মতো কয়েক শ মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। পোলাদ নুরি বলেন, ‘এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প আমি আমার জীবনে আগে দেখিনি।’
কুনার প্রদেশের পুলিশপ্রধান বিবিসিকে বলেন, ভূমিকম্পের পরাঘাত ও বন্যার জেরে আক্রান্ত এলাকাগুলোর অনেক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। এতে চলাচলের সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে শুধু আকাশপথে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের সম্পদ সীমিত। তাই উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা দরকার। বিশেষ করে ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোয় পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার প্রয়োজন।
কুনার প্রদেশের দুটি সূত্র জানায়, স্থানীয় মাজার উপত্যকায় আজ সোমবার ভোরে অন্তত চারটি হেলিকপ্টার চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের আট কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬।
এটা এতটাই তীব্র ছিল যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েক সেকেন্ড কম্পন টের পাওয়া গেছে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কুনারে আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২২ জনে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অবশ্য তালেবান–শাসিত দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম রেডিও-টেলিভিশন অব আফগানিস্তানের (আরটিএ) বরাত দিয়ে ৫০০ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে আহত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। রয়টার্স, আল–জাজিরা ও বিবিসি
| ভূমিকম্পে আহত একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। জালালাবাদ বিমানবন্দর, আফগানিস্তান, ১ সেপ্টেম্বর। ছবি: রয়টার্স |
No comments