ইসরায়েলের হামলার মুখে গাজায় অবশিষ্ট আছে মাত্র দেড় শতাংশ ফসলি জমি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতা থেকে বাদ পড়ছে না কিছুই। উপত্যকাটিতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। সৃষ্টি করা হয়েছে খাবারের সংকট। এমনকি ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ পড়ছে না ফসলি জমিও। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজায় আর মাত্র দেড় শতাংশ ফসলি জমি চাষাবাদের যোগ্য রয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের শুরু দিক থেকে গাজায় নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তখন থেকে উপত্যকাটির কৃষিজমিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। গত এপ্রিলে টিকে থাকা ফসলি জমির হার ছিল চার শতাংশ। এখন তা দেড় শতাংশে এসে ঠেকেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে উপত্যকাটির বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, বাদাম ও খাদ্যশস্য উৎপাদন করতেন। এফএওর হিসাবে, গাজায় অর্থনীতির প্রায় ১০ শতাংশ জুড়ে ছিল কৃষিকাজ। উপত্যকার ২০ লাখের মধ্যে ৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আংশিকভাবে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভর করতেন।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে, ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত গাজার প্রায় ৩২ হাজার একর কৃষিজমি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন মাত্র ২৩২ একর কৃষিজমি টিকে আছে। এফএওর প্রধান কু ডংইউ বলেন, গাজা এখন পুরোপুরি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধ ও স্থানীয় কৃষিখাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে ফিলিস্তিনিরা অনাহারে রয়েছেন।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বারবার আহ্বানের পরও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপত্যকাটিতে হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ দিন অনাহারে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এ নিয়ে না খেতে পেয়ে উপত্যকাটিতে মোট ১৯৭ জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।

ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা
ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

No comments

Powered by Blogger.