‘তারা কেবল হাড্ডিসার’
তিনি আরও বলেন, ঘুমানোর সময় পাশে একটু রুটি রাখি। কারণ সে প্রায়ই ক্ষুধায় কেঁদে ওঠে। আমি দুঃখ আর ভয়ে থাকি- আমার সন্তানরা না জানি কখন না খেয়ে, না খেতে পেয়ে বা রোগে মারা যায়। গাজায় চলমান যুদ্ধে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৬৬ জন ফিলিস্তিনি শিশু অনাহারে মারা গেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ করার অভিযোগ এনেছে, যা তারা ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইসরাইলের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক সংস্থা দাবি করেছে, তারা শিশুখাদ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে না। কয়েক সপ্তাহে ১৪০০ টনের বেশি শিশুখাদ্য গাজায় পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা নিজেরা শিশুখাদ্য নিজেদের লাগেজে করে গাজায় নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একবার, এক মার্কিন চিকিৎসকের লাগেজ থেকে ১০টি শিশুখাদ্যের কৌটা ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জব্দ করে নেন। ডা. ডায়ানা নাজ্জাল একজন ফিলিস্তিনি-জার্মান চক্ষু চিকিৎসক। তিনি ওই চিকিৎসকের ব্যাগ গুছিয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি বলেন, ওই দুধগুলো ছিল অপরিণত শিশুদের জন্য। একজন অপরিণত শিশুর দুধের কৌটা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য কী ধরনের হুমকি হতে পারে? তিনি আরও জানান, গাজায় ঢোকা অনেক চিকিৎসক তাদের লাগেজে চিকিৎসা সরঞ্জামের পরিবর্তে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার যেমন প্রোটিন বার ও বাদাম নিয়ে আসছেন। গাজায় অর্ধ মিলিয়ন মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। বাকি জনসংখ্যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মা যদি অপুষ্টিতে ভোগে বা বেঁচে না থাকেন, তবে শিশুরা বুকের দুধ পায় না, যার ফলে ফর্মুলা দুধের চাহিদা আরও বেড়ে যায়।

No comments