‘পশ্চিমতীরে ইহুদি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে ইসরাইল’
উল্লেখ্য, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় পশ্চিমতীরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা হয়। নিয়মিত একে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে নিন্দা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ। এর ওপর ইসরাইল সরকার বৃহস্পতিবার যে নতুন ২২টি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক সমালোচনা তীব্র হয়েছে। শুক্রবার ইসরাইল কাটজের অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমতীরের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়- এই ভূমিতে আমাদের অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল করার জন্য চেষ্টা করছে যোদ্ধাগোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে এটা একটি সুচিন্তিত জবাব। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও তার সহযোগীদের জন্য এটা একটা পরিষ্কার বার্তা। সেটা হলো- তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন একটি কাগজে। কিন্তু ওই ভূমিতে আমরা একটি ইসরাইলি ইহুদি রাজ্য গড়ে তুলবো। তারা যে কাগজে স্বীকৃতি দেবেন তা ইতিহাসের আবর্জনার ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হবে।
অন্যদিকে ইসরাইল রাষ্ট্র মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সমৃদ্ধ হবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলে সা-নুর বসতির একটি আউটপোস্ট সফরকালে ইসরাইল কাটজ এসব মন্তব্য করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনের অধীনে গাজা থেকে ইসরাইলকে সরে যাওয়ার অংশ হিসেবে ২০০৫ সালে সা-নুর খালি করে দেয়া হয়েছিল। ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিমতীর দখল করে আছে ইসরাইল। ওদিকে শুক্রবার সিঙ্গাপুর সফরে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি সেখানে বলেন, কিছু শর্তের অধীনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয় একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও অত্যাবশ্যকীয়।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংয়ের প্রধান কার্যালয়ে জুন মাসে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক একটি কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে।
কনফারেন্সের প্রস্তুতি ঘনিষ্ঠভাবে জানেন প্যারিসের এমন একজন কূটনীতিক বলেছেন, এই সম্মেলনের উচিত ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আরও অনেক দেশের জন্য পথ তৈরি করে দেয়া। এর আগে এপ্রিলে ম্যাক্রন বলেছিলেন, জুনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ। ইসরাইল বৃহস্পতিবার নতুন আরও বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়ায় একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছে বৃটেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরাইলের এই ঘোষণা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়াকে ভুলপথে ধাবিত করবে।

No comments