ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: নিয়ন্ত্রণ রেখার দু’পাড়ে শঙ্কিত মানুষ, পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ক্ষতি কল্পনাতীত

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ও ভারতের পাল্টাপাল্টি হামলায় শঙ্কিত দুইদিকের মানুষ। কোনো দিক থেকেই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সীমান্তের উভয় দিকের স্কুল-কলেজ। ভারতের পাঞ্জাবে আগামী তিন দিন বন্ধ স্কুল, কলেজ। জম্মু ও কাশ্মীরে শুক্রবার স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের মিডিয়ার খবর, ভারত বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধবিমানকে? ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে ২টি জেএফ-১৭ এবং একটি রাফায়েল বিমান। একজন পাইলটকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, ভারতকর্তৃক পাকিস্তানের এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি অযৌক্তিক ও মিথ্যা। শুক্রবার  দেয়া ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮ ও ৯ই মে  মধ্যরাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সমগ্র পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে একাধিক আক্রমণ চালায়।

জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা অসংখ্যবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ড্রোন হামলা কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় উপযুক্ত জবাব দেয়া হয়েছে। পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের বিভিন্ন শহরের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এরপরেই ভারত পাল্টা হামলা চালিয়েছে। একযোগে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, শিয়ালকোট, পেশোয়ার সহ পাকিস্তানের ১২টি শহরে হামলা চালায় তারা। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্যবস্তু করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশে তীব্র আক্রমণ শুরু করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সীমান্তবর্তী এলাকা- আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা, হীরানগরে তীব্র গোলাবর্ষণ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের শীতকালীন রাজধানী জম্মুতে বিমান হামলার চেষ্টা হয়েছে। আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা, হীরানগরে  ভারী সামরিক স্থাপনা রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে; তবে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট সেগুলোকে সফলভাবে প্রতিহত করে বলে ভারত দাবি করেছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের পাঠানকোটও পাকিস্তানের তীব্র গোলাবর্ষণের শিকার হয়েছে। শহরটি একটি  কৌশলগত এলাকা এবং জম্মুর প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে। জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো সম্পূর্ণ উচ্চ সতর্কতার আওতায় রয়েছে। পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়, ফিরোজপুর, মোহালি এবং গুরুদাসপুর এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আরেকটি রাজ্য রাজস্থানের কিছু অংশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, জম্মু, পঠানকোট, উধমপুরে পাকিস্তানের হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। কেউ হতাহত হননি বলেও জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, প্রতিটি হামলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের হামলার আবহে ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাতিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাতিণ্ডা, জয়সলমের, যোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌?, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। এদিকে, দ্রুত উত্তেজনা প্রশমিত করতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও রাতেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এজে জয়শঙ্করকে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন। হিংসা থামানোর ডাক দিয়েছেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার জন্য সব রকম চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন রুবিও।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের বিষয় নয়: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এই মন্তব্য করেন। ফক্স নিউজের ‘দ্য স্টোরি উইথ মার্থা ম্যাককালাম’ অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী এ দুই দেশের মধ্যে কোনো সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় এবং সেখানকার কোনো যুদ্ধ ‘আমাদের বিষয় নয়’। ভান্স বলেন, আমরা চাই বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব শান্ত হোক। তবে দেশগুলোর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু তাদের উত্তেজনা কমাতে উৎসাহ দিতে পারি, কিন্তু এমন একটি যুদ্ধে জড়াতে পারি না, যা মূলত আমাদের বিষয় নয় এবং যেটি নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থানে আমরা নেই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বৈশ্বিক কূটনৈতিক অঙ্গনে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে উত্তেজনা শুরু হলেও, বিশ্লেষক ও সাবেক কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দিতে পারে ওয়াশিংটন। এতে মার্কিন পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো চাপ আসার সম্ভাবনা কম। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা সামপ্রতিক বছরগুলোতে আরও বেড়েছে, বিশেষ করে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় নয়াদিল্লিকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। অপরদিকে, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব কিছুটা কমলেও দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতা এখনো বহাল রয়েছে।

ভারতের ‘আগ্রাসনে’ পাকিস্তানের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও জবাবের হুঁশিয়ারি: ভারতের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের সামরিক, রাজনৈতিক ও স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির ঘোষণা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোস্তফা কামাল এবং আইএসপিআরের মহাপরিচালক  লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ  চৌধুরী একযোগে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। দেশের নিরাপত্তা ও সেবামূলক কাঠামোকে সম্পূর্ণ সচল রাখার নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। তিনি ভারতের হামলায় ৩১ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের শাহাদাত এবং ৫৭ জনের আহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-কে জানান, পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ মূল্য দিতে প্রস্তুত।

পাকিস্তানের প্রতি এরদোগানের সহমর্মিতা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি পাকিস্তানের জনগণ ও সরকারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। বলেছেন, উত্তেজনা বন্ধে সব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তুরস্ক। তবে সতর্ক করেছেন।  বলেছেন, ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা-পাল্টা হামলার পর এই সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের যেসব ভাই জীবন হারিয়েছেন আল্লাহর কাছে তাদের জন্য প্রার্থনা করি। পাকিস্তানের বন্ধুপ্রতিম জনগণ ও সরকারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।

ডনের সম্পাদকীয়: পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ক্ষতি কল্পনাতীত, সংযত হওয়ার এখনই সময়
ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের সঙ্গে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিমানবন্দরগুলো বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বাজার ব্যবস্থা প্রান্তসীমায়। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলে তৈরি ভারতের ২৫টি ড্রোন গুলি করে তারা ভূপাতিত করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। ৭ই মে শুরুতেই আজাদ জম্মু কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে সিন্ধু সহ বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার ড্রোন হামলা জোরালো করেছে। ভারতীয় মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে যে, ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন টার্গেটে হামলা করেছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান সরকার তা অস্বীকার করেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো পেহেলগাম হামলার অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে ভারত। তারা কথিত ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করছে। জবাবে পাকিস্তান শুরুতে তাদের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, তার দেশ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়। অন্যদিকে তার সেনাবাহিনী উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার পক্ষে কথা বলেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, এখনো উস্কানিমূলক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। পাকিস্তানে এখনো তারা বেসামরিক লোকজনের জীবনকে বিপন্ন করছে। ফলে তাদের সংলাপ এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি উচ্চ মাত্রায় প্রশ্নবিদ্ধ।  

বৃহস্পতিবার একটি ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন, দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ডিজিএমও’দের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো বিদেশি বন্ধুরা যখন সংযত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন সংকট নিরসনে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট উদাসীনতা দেখা গেছে। এই উদাসীনতা পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীদের জন্য শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়। একই সঙ্গে এই উত্তেজনা শুধু এই দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। একই সঙ্গে তা পুরো দক্ষিণ এশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যকে আক্রান্ত করতে পারে।

তাই ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে জাতিসংঘ এবং যেসব দেশের ভালো সম্পর্ক আছে তাদের উচিত এই উত্তাপকে  ঠাণ্ডা করার জন্য ভূমিকা পালন করা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের প্রতিই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। উপসাগরীয় দেশগুলো, ইরান এবং অন্যরা সহ বিদেশি শক্তিগুলোর উচিত একটি কূটনৈতিক সমাধানের  জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা।

উভয় দেশেই উগ্রপন্থা স্পষ্ট। কিন্তু  ভারতীয় মিডিয়া, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডল তাদের দেশের সংঘর্ষ নিয়ে মেতে আছে। সম্ভবত তারা যুদ্ধকে বলিউডের অ্যাকশন ফিল্মের মতো ভাবছে। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক বেশি অন্ধকারময়। এমনকি যদি একটি সাধারণ পর্যায়ের যুদ্ধ হয় তাহলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি এবং অপরিসীম ক্ষতি হবে উভয়পক্ষে। উপরন্তু পারমাণবিক যুদ্ধ হলে কী ঘটে তা কল্পনার অতীত। তাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যুদ্ধের দিকে এই যাত্রা বন্ধ হোক। বিদেশি প্রচেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে এবং ডিজিএমও’দের মধ্যে যোগাযোগ অবশ্যই অব্যাহত থাকা উচিত। এর লক্ষ্য হওয়া উচিত উত্তেজনা হ্রাস করা এবং আরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.