আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে এনসিপির অবস্থান
বৃহস্পতিবার রাত দশটার পর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশ-র্যাব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছেন। তারা নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। সেখান দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কর্মসূচিতে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার, মনিরা শারমীন, আব্দুল কাদের, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, জুলাই ঐক্যের এবি জুবায়ের, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
রাত দশটা থেকে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে জানান, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত দশটা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সাথে আমরা নাই। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, হাসনাতের সাথে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিন। নয় মাসে সোজা আঙ্গুলে কাজ হয়নি। এখন সময় আঙ্গুল বাঁকা করার।
যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগের বিচার নাই তার সঙ্গে আমরা নাই
সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নাই, যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।’
গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পোস্ট প্রসঙ্গে হাসনাত লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার প্রশ্নে যারা মাহফুজ আলমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন, তারা হয় অন্যের খেলার ঘুঁটি হচ্ছেন নাহলে তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। মাহফুজ, আসিফ, নাহিদরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ ঘোষণা চায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে কারা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করুন। মূল সমস্যা চিহ্নিত না করে, সে ব্যাপারে কথা না বলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ, ঈর্ষা বা গোষ্ঠীগত স্বার্থোদ্বারের জন্য যারা মাহফুজদের টার্গেট করছেন, আওয়ামী লীগ ফিরে আসার দায় নিতে হবে আপনাদেরও।’
একই দিনে আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘চলতি মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশন বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে অন্তত তেইশটা মিটিং করেছে। লিখে রাখেন আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। একটা পর্যায়ে বলা হবে, একসময়ের জন সমর্থিত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমাদের কাজ নয়।’
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ প্রসঙ্গে আরেকটি স্ট্যাটাসে এনসিপি’র এই নেতা লিখেছেন, ‘খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেন, ‘তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?’.jpeg)
No comments