পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাঙালি পর্যটকের, পাশে থাকার আশ্বাস মমতার by সেবন্তী ভট্টাচার্য্য

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত যাদের দেহ শনাক্ত করা গেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারী।  বাড়ি পাটুলির বৈষ্ণবনগরে। ফ্লোরিডায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বিতান। ১৬ এপ্রিল স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। হামলার সময় বিতান পহেলগাঁওয়ের ওই রিসোর্টে ছিলেন। সন্ত্রাসী  হামলার বলি হতে হয় ৪০ বছরের ওই যুবককে। ২৪ এপ্রিল তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু  বাড়ি ফেরা হলো না বিতান অধিকারীর। যদিও তার স্ত্রী সোহিনী ও সন্তান রিদান সুস্থ রয়েছেন।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় নিজে বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে ফোন করেছেন। সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সোহিনী। এই বিপদের দিনে সমস্তরকমভাবে তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকের উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার পরিবারগুলোর প্রতি আমার গভীর সহমর্মিতা রইল। নিহতদের মধ্যে একজন বিতান অধিকারী এই বাংলারই ( পশ্চিমবঙ্গ ) বাসিন্দা। আমি তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। যদিও এই শোকের মুহূর্তে তাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে, আমার সরকার তার স্বামীর দেহ কলকাতার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

মুখ্যমন্ত্রীর  নির্দেশ পেয়ে বিতানের  বাড়িতে পৌঁছে যান রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনিও সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শ্রীনগরে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ ফিরবে রাজ্যে। কত দ্রুত দেহ রাজ্যে ফেরানো যায় সেই চেষ্টা করছে প্রশাসন। এদিকে বিতানের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে অধিকারী পরিবারের। বিতানের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরেও ছেলে-বৌমার সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। সকলে আনন্দে ছুটি কাটাচ্ছিল। সন্ধ্যায় খবর আসে জঙ্গির গুলিতে মারা গিয়েছেন বিতান!

mzamin

No comments

Powered by Blogger.