শিক্ষার্থী ও পিএসসি’র মাঝে ব্রিজ হয়ে সমস্যা সমাধানই ছিল লক্ষ্য
ওদিকে মানবজমিনে প্রকাশিত ‘কঠিন চাপে পিএসসি’ শিরোনামে সংবাদটির কিছু বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘পিএসসি’র সংস্কারপ্রত্যাশী’ ব্যানারের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্কারপ্রত্যাশীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। ঢাবি শিক্ষার্থী শাহ আলম স্নেহ লিখিত বক্তব্যে বলেন- ২৯শে এপ্রিল মানবজমিনে প্রকাশিত ‘কঠিন চাপে পিএসসি’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’ অংশীজনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’ সম্পর্কে নানাবিধ মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যা বিসিএস প্রত্যাশীদের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরির সুযোগ দিবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন’-এর স্বাধীনতা বজায় রেখেই কমিশনের প্রতিনিধি হয়ে সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পিএসসি’র চেয়ারম্যান ও সদস্যের পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে অনুরোধ করেছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি পিএসসি’র নিকট তুলে ধরেছিলেন। এবং সদস্যের সিদ্ধান্ত তিনি প্রেসের সামনে উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরাজুস সালেহীন সিয়ন, তিনি ১০ বছর আগেই ছাত্রলীগ ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। এ ছাড়া এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানান। তার এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৮ই এপ্রিল ১০-১২ জন পরীক্ষার্থী নয় বরং ২০০ পরীক্ষার্থী পিএসসি’র সামনে উপস্থিত ছিল। পরীক্ষার্থীরা কেউ গেট ভাঙেনি। বরং গেট খুলে পিএসসি’র ভেতরে অবস্থান নেন। পিএসসি’র মূল কার্যালয়ে প্রবেশের কেউ চেষ্টা করেনি। পিএসসি’র চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেননি। তিনি সেনাবাহিনীর সহায়তায় একটা প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে দেখা করেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বার বার ১০-১২ জন আন্দোলনকারী উল্লেখ করে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’কে হেয় করা হয়েছে। আন্দোলনে প্রত্যেকবারই ৫০০ প্লাস বিসিএস প্রত্যাশীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এটা ৪৬ পেছানো বা স্থগিতের আন্দোলন না। এটা বিসিএস প্রত্যাশীদের ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন’।
![]() |
| পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া |

No comments