১০০ বছরেরও বেশি সময় পর মিশরে আবিষ্কৃত হলো ফারাওয়ের সমাধি
বৃটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ ডক্টর পিয়ার্স লিদারল্যান্ডের আশা ছিল কোনও ফারাওয়ের রানি বা বংশধরের সমাধিতে পৌঁছেছে ওই পাথুরে সিঁড়ি। দীর্ঘ খননকার্যের পর সেই সমাধিতে পৌঁছনোর পর পাওয়া যায় এক টুকরো ভাঙা পাথর। নীল রং মাখানো সেই পাথরে হলদে তারার মোটিফগুলো দেখেই লিদারল্যান্ড বুঝতে পারেন এটা যার তার সমাধি নয়। কোনও ফারাওকে সমাহিত করা হয়েছিল এখানে। কারণ সোনালি তারায় ভরা নীল আকাশের নীচে ঘুমিয়ে থাকার অধিকার ছিল একমাত্র ফারাওদেরই। ১৯২২ সালে রাজা তুতানখামেনের সমাধি আবিষ্কারের পর মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে এটিকেই সবচেয়ে বড় আবিষ্কার বলে একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন সকলে। গবেষকরা দ্বিতীয় থাতমোসের সমাধিতে শেষকৃত্যের আসবাবপত্রের টুকরো, নীল শিলালিপি, হলুদ তারা এবং ধর্মীয় লেখা সম্বলিত মর্টারের টুকরোও খুঁজে পেয়েছেন ।
তবে, ফারাও-এর মৃত্যুর পরপরই বন্যার কারণে, সমাধিটি সাধারণত ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি । এর বেশিরভাগ সামগ্রী স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এবং সেগুলি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। তবে দ্বিতীয় থাতমোসের চেয়েও তাঁর রানি হাটশেপসুটকে মনে রেখেছে ইতিহাস। সম্পর্কে সৎ বোন হাটশেপসুটকে বিয়ে করে প্রধান রানি করেছিলেন দ্বিতীয় থাতমোস । তাঁর মৃত্যুর পর মিশরের ইতিহাসে একমাত্র নারী ফারাও হিসেবে সিংহাসনে বসেন হাটশেপসুট।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

No comments