আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস বললেন- বীভৎস: আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী সরকার
তিনি বলেন, যা দেখলাম, শুনলাম অবিশ্বাস্য মনে হলো। যারা নিগৃহীত হয়েছে তাদের মুখ থেকেই শুনলাম। বিনা দোষে তাদের ধরে আনা হতো। ধরে এনে বলা হতো সন্ত্রাসী। এরকম টর্চারসেল সারা দেশে জুড়েই আছে। কেউ বলে ৭০০ কেউ বলে ৮০০। সংখ্যাও জানা যায়নি। আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কমিশনকে ধন্যবাদ তারা অনেক কষ্ট করেছে। দেশের অবনতির যে রুপ তার একটা চিত্র। মানুষের সামান্যতম অধিকার সেটাও বঞ্চিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৭০০। অজানা কতো আমরা জানি না। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেকে, কেউ তাদের খোঁজ জানে না। এক মেয়ে বলল, নয় বছর হয়েছে তার মা কোথায় কেউ জানে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ন্যায় বিচারটা যাতে তাড়াতাড়ি হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমরা একটা নতুন পরিবেশ, নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রিজওয়ানা, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটনসহ ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন। এসময় দেখা যায় নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাদের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল সেটি চিহ্নিত করেন।
![]() |
| টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শনে মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে গত জুলাই মাসে সাদাপোশাকের লোকজন তুলে নিয়েছিল। তুলে নেওয়ার পর তাঁদের টর্চার সেলে (নির্যাতনকেন্দ্র) রাখা হয়। আজ বুধবার সেই টর্চার সেল পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষগুলো শনাক্ত করেন তাঁরা। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি আজ বুধবার তাঁর ফেসবুকে দেওয়া পৃথক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথির ফেসবুক থেকে নেওয়া। -প্রথম আলো |

No comments