ইসরায়েলের বাধায় আটকে আছে ফিলিস্তিনিদের ‘ভ্রাম্যমাণ বাড়ি’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি সীমান্তে আটকে আছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জন্য বরাদ্দ অস্থায়ী ‘ভ্রাম্যমাণ বাড়ি’। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলের বাধায় এসব ত্রাণ ও সহায়তা গাজার জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজার মানুষ এখনো অমানবিক পরিস্থিতির মুখে। খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট চলছে। তীব্র শীত ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অনেক ফিলিস্তিনি খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। গাজার বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাস করছেন।

এছাড়া, ইসরায়েলি সীমান্তে আটকে থাকা ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- অস্থায়ী ঘর বা প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি, যা যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে, এসব বাড়ি গাজায় পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলি অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

গাজার রাফাহ সীমান্তে মিসর থেকে এসব প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি ও ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ করতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বাড়িগুলো গাজার মানুষের জন্য আশ্রয় এবং পুনর্বাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে, ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে তারা ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার কিংবা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করতে পারছে না।

এদিকে, ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, তেলআবিব মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে, তারা ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে রাজি, তবে এর বিনিময়ে বন্দি বিনিময়ের দাবি জানিয়েছে।

পরিস্থিতি যখন এই, গাজা উপত্যকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আশা করা যায়, মধ্যস্থতাকারীরা এ সংকট নিরসনে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেবে, যাতে গাজার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পায়। 

গাজা উপত্যকায় খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট চলছে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট চলছে। ছবি : সংগৃহীত

No comments

Powered by Blogger.