মন্ত্রী কথন- মুহূর্তে মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

করোনা-ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত এপ্রিল মাস থেকে দফায় দফায় বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কখনো সাধারণ ছুটি, কখনো চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আবার জীবন-জীবিকা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করে শিল্প-কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। আবার সমালোচনার মুখে গণপরিবহন চালু হয়েছে। সর্বশেষ ১১ই আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু খুলে দিলেও অর্ধেক গণপরিবহন চলার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়। গতকাল আবার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ১৯শে আগস্ট থেকে সকল গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেয়া হয়। বারবার সিদ্ধান্ত বদলের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিধিনিষেধ জারির পর প্রথম কয়েকদিন কঠোর অবস্থানে থাকে প্রশাসন। পরে আবার সবকিছু ঢিলেঢালাভাবে চলতে থাকে। ফলে লকডাউনের যে মূল উদ্দেশ্য তা অর্জন হচ্ছে না। ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের যে খসড়া পরিকল্পনা ছিল তাও সরবরাহের ঘাটতি থাকার কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকার দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে করোনা মোকাবিলার মূল অস্ত্রই হচ্ছে ভ্যাকসিন। পাশাপাশি জনগণকে মাস্ক পরানো নিশ্চিত করা। কিন্তু এই দুই ইস্যুতেই সরকার পরিকল্পনা মাফিক এগোতে পারছে না। শুরুর দিকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরেশোরে এগোলেও পরবর্তীতে সরবরাহের ঘাটতির কারণে তা থমকে যায়। জুন মাসে বিকল্প উৎস থেকে টিকা এনে আবার গণটিকা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় সে কার্যক্রমও সীমিত করতে হয়। অপরদিকে মাস্ক পরানোর জন্য যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা খুব একটা কাজে আসছে না। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারে আইন বা অধ্যাদেশ জারি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।

কিন্তু বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হওয়ায় তা সহসাই হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের লাগাম টানতে দফায় দফায় বিধিনিষেধ দিতে হচ্ছে সরকারকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে আবার বিধিনিষেধ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিককের সঙ্গে মতবিনিময়ে বলেছেন, প্রয়োজনে আবার বিধিনিষেধ জারি করা হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী কৌশল কী হবে এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করবো। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেয়া, কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আবারো লকডাউন দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশে বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেয়া হয়েছে, সেখানে লকডাউন দেয়া হয়েছে। আমেরিকাতে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের অপরিহার্যতা। এটা খোলা প্রয়োজন, কারণ হচ্ছে ব্যবসা করে, কাজ করে, তাদের দিকে তাকিয়ে কিন্তু এ বিষয়গুলো শিথিল করা প্রয়োজন। যদিও পরিস্থিতি কিন্তু এখনো সন্তোষজনক নয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩শে জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ ১১ই আগস্ট থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তুলে নেয়া হয়েছে। সেদিন থেকেই সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা। ১৯শে আগস্ট থেকে পুরোদমে চলবে গণপরিবহন, খুলছে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র। তবে আসন সংখ্যার অর্ধেক ব্যবহার করে পর্যটন, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার শর্ত দিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯শে আগস্ট পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার ৫০ ভাগ ব্যাবহার করে চালু করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১লা জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় ৯ দিন তা শিথিল করা হয়েছিল। ঈদের ছুটির পর ২৩শে জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এরমধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এরপর ১লা আগস্ট সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি মেলে। ১১ই আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালত খোলার অনুমতি দেয়া হয়।

বাসে-ট্রেনে গাদাগাদি করে এলে আবার সংক্রমণ বাড়বে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রত্যেককে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। শুধু সরকার পারবে না, সবাইকে প্রয়োজন। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের করতে হবে। বাসে ট্রেনে গাদাগাদি করে আসলে চলবে না। তাহলে আবার সংক্রমণ বাড়বে। গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘ডেঙ্গু ও করোনা মহামারিতে চ্যালেঞ্জ’- শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন (বিএসএম) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম। সঞ্চালনা করেন- মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ভ্যাকসিনের ব্যাপক চাহিদার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানালে তিনি দ্রুতই চীনের সিনোফার্মের ৬ কোটি টিকা কেনার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সেই ৬ কোটি টিকা ক্রয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সময়মতো টাকা ছাড় দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এখন ধাপে ধাপে ক্রয়কৃত সিনোফার্মের ৬ কোটি টিকা দেশে আসতে থাকবে। অন্যান্য মাধ্যমেও আমাদের আশানুরূপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে চলমান টিকা কার্যক্রমের গতি চলমানই থাকবে। তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহে ৫৪ লাখ এবং পরের মাসে আবার ৫০ লাখ টিকা সবমিলিয়ে এই মাসে ১ কোটি টিকা আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিবি, পক্স আগে মানুষের ছিল না। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে অসুখগুলো আসে, এখনো আসছে। আমরা জানি যে, করোনা কোনো একটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এসেছে। স্মল পক্স প্রতিরোধ করা গেছে। কোনো এক সময় করোনাও মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, নিজেরাও কিনছি। ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হলে ২৬ থেকে ২৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। একসঙ্গে এত ভ্যাকসিন আমরা পাবো না, রাখতেও পারবো না। আমরা চেষ্টা করছি, যখন যেটা পাওয়া যায় আনার জন্য। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং স্টক করেছে। জনসংখ্যার চারগুণ-পাঁচগুণ বেশি ভ্যাকসিন তারা স্টক করেছে। অনেক দেশ আছে যেখানে ভ্যাকসিন পৌঁছেনি।
তিনি বলেন, আমরা একেবারে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারবো না। ধৈর্য্য ধরতে হবে। আস্তে আস্তে সবাইকে আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি। পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কেটি লোক রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমাদের যারা বিরোধী আছেন, ভ্যাকসিন যখন কম থাকে তখন বলে ভ্যাকসিন কোথায়? যখন বেশি লোক আসে, লোক বেশি কেন এলো? না এলেও অসুবিধা, এলেও তাদের কাছে অসুবিধা। তাদের আমি অন্য কোনো কাজে দেখিনি। করোনার সময় মানুষের পাশে তাদের কখনো দেখিনি। মাঝে-মধ্যে টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। শুধু সমালোচনায় দেখেছি। সমালোচনা করা সহজ খুব।

তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু রোগী বাড়বে। হাসপাতালে জায়গা সংকুলনার করতে পারছি না। এখন প্রায় সবই খুলে দেয়া হয়েছে। জীবন-জীবিকা পাশাপাশি চলবে। জীবন বেশি গুরুত্ব। জীবনকে রক্ষা করে আমাদের জীবিকা অর্জন করতে হবে। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। শুধু সরকার পারবে না, সবাইকে প্রয়োজন। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের করতে হবে। সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, এখন কমে এসেছে। ৩২ শতাংশে উঠেছিল, এখন তা ২৩ শতাংশ। এই কমার হার ধরে রাখতে চাই। যারা বাসে- ট্রেনে চলেন, গাদাগাদি করে এলে চলবে না। তাহলে সংক্রমণ আবার বাড়বে বলেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর বলেন, হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে লাভ হবে না যদি সংক্রমণের মূল উৎস চিহ্নিত না করে কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে মশার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। কোভিড নিয়ে বলতে চাই, আমি অনেক পরে এই প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হয়েছি। আমরা রাতারাতি হাসপাতাল বাড়িয়ে ফেলতে পারি না, চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়িয়ে ফেলতে পারি না। এখন সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে, আমাদের খেয়াল করতে হবে আমরা যেন এই রোগ বাড়িয়ে না চলি। হাসপাতালে আর বেড বাড়ানো সম্ভব হবে না। নন-কোভিড রোগীদের সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের সংযত হতে হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, আমরা করোনা নিয়ে ক্লান্ত সবাই। এর মধ্যে নতুন করে এলো ডেঙ্গু। করোনায় বড়রা আক্রান্ত বেশি হয়। উল্টো ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে। আমরা খুব একটা ভালো সময়ে নেই। প্রতিদিনই সংক্রমণ হচ্ছে। মৃত্যু ২০০ এর উপরে। আমরা নানা পন্থা অবলম্বন করেছিলাম, তার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি সেটা খুব একটা মানা হচ্ছে না। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বেশি। চিকিৎসার চেয়ে মশা নিধন বেশি জরুরি। ডেঙ্গু চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল দরকার নেই। আমি মনে করি, ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল করলে চিকিৎসায় সময় নষ্ট হবে। পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, সিটি করপোরেশন বাড়ি আঙিনাভিত্তিক অভিযান চালাচ্ছে। অফিস-আদালতকে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এর আগে ডেঙ্গু ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন-এর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির করোনার চিকিৎসার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


No comments

Powered by Blogger.