ভিয়েতনামের যুদ্ধ জাদুঘর, ঘুরে দাঁড়ানোর সাক্ষী by তপন চক্রবর্তী

ভিয়েতনাম আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগি দেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ক্রমে তারা কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারই সাক্ষী একটি জাদুঘর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা জাদুঘরটি দেখতে আসেন। কারও চোখ ভিজে আসে, কেউবা আবার প্রেরণা পায়। নতুন উদ্যমে দেশে ফেরে।
বহুতল জাদুঘরের ভেতরে বাইরে ভয়ংকর সব মারণাস্ত্র সাজানো। অস্ত্র, গোলাবারুদ তো আছে। চোখে পড়লো আস্ত ট্যাংকার আর যুদ্ধবিমানও। জাদুঘরের মূল ভবনের ভেতরে বন্দিদের অত্যাচারের নমুনা রাখা আছে। শত শত যুদ্ধকালীন ছবি। ভাস্কর্য, দলিল-দস্তাবেজ, পোস্টার, লিফলেটের সংগ্রহও বেশ।একটি বাংলা পোস্টারও আছে- ‘বিজয়ী ভিয়েতনাম লাল সেলাম, হো চি মিন লাল সেলাম’ লেখা। পুলক অনুভব করলাম বিদেশের মাটিতে।
ভিয়েতনামের যুদ্ধ জাদুঘর, ধ্বংসস্তূপে ঘুরে দাঁড়ানোর সাক্ষী। ছবি: বাংলানিউজ
ভিয়েতনাম ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হো চি মিন নামে যে শহরটি তার আদি নাম ছিল সাইগন। দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতনের পর নাম পাল্টে ভিয়েতনামের জাতীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হো চি মিনের নামে সাবেক এ রাজধানী শহরের নামকরণ করা হয়। হোচি মিন ছিলেন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠাতা। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি আমৃত্যু ভিয়েত কং এর নেতৃত্ব দেন।
রাজধানী হ্যানয়, কুচি গুহাসহ অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে পর্যটকদের জন্য। সব কিছু সাজানো গোছানো পরিপাটি। বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আসন দখলে মরিয়া ভিয়েতনামের মানুষ। পর্যটন, উৎপাদন, রফতানি, পরিবেশ, আতিথ্য, সেবা সব কিছুতে নজরদারি প্রশাসনের। সব মিলে মুগ্ধ করার মতো দেশ ভিয়েতনাম।

No comments

Powered by Blogger.