শিশুর বেপরোয়া আচরণের কারণ

শিশুর বেপরোয়া আচরণের কারণ হতে পারে বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকা।
গবেষকরা বলছেন, “নয় থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুম আর বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার সময়সীমা সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলে শিশুকে বেপরোয়া আচরণের কবল থেকে বাঁচানো সম্ভব।”
কানাডার অটোয়া’তে অবস্থিত সিএইচইও রিসার্চ ইনস্টিটিউট’য়ের ‘হেলদি অ্যাক্টিভ লিভিং অ্যান্ড ওবিসিটি’র গবেষক দল (এইচএএলও)-এর করা এই গবেষণায় দেখা যায়, বেপরোয়া আচরণের সঙ্গে ঘুম এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণার প্রধান, সিএইচইও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি অফ অটোয়া’র ডা. মিশেল গুয়েরেরো বলেন, “বিভিন্ন মানসিক রোগ এবং মাদকাসক্তিজনীত সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বেপরোয়া আচরণ। এদের মধ্যে খাওয়াজনীত আচরণগত সমস্যা, আচরণগত বিভিন্ন বদভ্যাস বা আসক্তি এবং মাদকদ্রব্য সেবন অন্যতম।”
‘পেডিয়াট্রিকস’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য পর্যবেক্ষণ করা হয় ৪,৫২৪ জন শিশুকে। ঘুম ও বৈদ্যুতিক পর্দায় সামনে সময় কাটানো পরিমাণের পাশাপাশি গবেষকরা শিশুদের শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রাও পর্যবেক্ষণ করেন, যা হওয়া উচিত প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টার সামান্য থেকে ভারী পরিশ্রম।
‘দ্য এবিসিডি স্টাডি’ নামক আরেকটি গবেষণা গুয়েরেরো ও তার দলকে সাহায্য করে তথ্য সংগ্রহ করতে। বেপরোয়া আচরণের মাত্রা পরিমাপের আটটি মানদণ্ডের বিরুদ্ধে ‘মুভমেন্ট গাইডলাইন’য়ের তিনটি স্তম্ভ সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করেন তারা।
এই আট মানদণ্ডের মধ্যে আছে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়ার তাড়না, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্থির করা, পুরষ্কৃত কিংবা নেতিকবাচক অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীলভাবে সাড়া দেওয়া এবং ইতিবাচক ও নেতিবাচক অনুভূতির প্রতি বাজেভাবে সাড়া দেওয়া।
গবেষণার ফলাফল বলে, “মুভমেন্ট গাইডলাইন’য়ের তিনটি স্তম্ভ পরিপূর্ণ করতে পারলেই মানদণ্ডের আটটির থেকে পাঁচটির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া মেলে।”

No comments

Powered by Blogger.