বলকিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক; জোট গঠনের প্রস্তাবসহ ৬টি সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে কৃষি, সংস্কৃতি ও শিল্প, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য, পশু সম্পদ, জ্বালানি খাতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া দু’দেশের কূটনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণ বিষয়ে একটি কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয়েছে।
আজ (সোমবার) দুপুরে ব্রুনেই সুলতানের সরকারি বাসভবনে সুলতান হাসানাল বলকিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই ও নোট বিনিময় হয়।
কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ব্রুনেইয়ের প্রাইমারি রিসোর্স ও পর্যটনমন্ত্রী হাজি আলি বিন আপং।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সম্পদ সেক্টরে সহযোগিতা বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও হাজি আলী বিন আপং।
শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রের সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতায় সই করেন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং ব্রুনেইয়ের সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হাজি আমিনুদ্দীন ইহসান।
যুব ও ক্রীড়াখাতের সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও হাজি আমিনুদ্দীন ইহসান। এলএনজি ও এলপিজি সরবরাহ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং ব্রুনেইয়ের জ্বালানি, জনশক্তি ও শিল্পমন্ত্রী হাজি মাত সানি।
বলকিয়া-শেখ হাসিনা বৈঠক
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুলতান বলকিয়ার বৈঠক হয়। এতে অংশ নিতে সকাল ১১টায় সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানে পৌছান প্রধানমন্ত্রী। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রথা ভেঙে শেখ হাসিনাকে প্রাসাদের করিডোরে এসে স্বাগত জানান সুলতান বলকিয়া এবং ক্রাউন প্রিন্স আল-মুহতাদি বিল্লাহ বলকিয়া।
ইস্তানা নুরুল ইমান প্রাসাদে সুলতান বলকিয়া ও রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময়, তিনি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গড়ার প্রস্তাব দেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ নিয়ে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম গড়ে তোলার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও ইন্দোনেশিয়া।
এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনসহ দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। রোববার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রুনাইয়ের সেরি বেগাবান বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ব্রুনাইয়ের যুবরাজ হাজী আল-মুহতাদী বিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানান।

No comments

Powered by Blogger.