রাষ্ট্র ভিন্নমতাবলম্বীদের সহ্য করতে পারছে না -আদিলুর রহমান

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ভিন্নমতাবলম্বীদের মানবাধিকারের ব্যাপারে যারা সোচ্চার এবং যারা দেশের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন রাষ্ট্র তাদের দমন করার  জন্য সচেষ্ট। এ ছাড়া তাদের সমর্থিত মিডিয়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে তাদের হেনস্তা করা হয় বলে তিনি মনে করেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আদিলুর রহমান বলেন, একটার পর একটা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। এ কারণে আমরা যে আশঙ্কাটা করেছিলাম- নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্নমতাবলম্বী এবং যারা মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেন তাদের দমন-নিপীড়ন আরো বেড়ে যাবে। অধিকার-এর উপরে যেই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে এটা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ কিনা? তিনি বলেন, যখন জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার কথা বলেছে এবং তারা সেখানে বলেছে মানবাধিকার রক্ষা করবে ও মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে- সেই অবস্থাতে আজকে যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায়, তাদের কাজ করতে দেয়া হবে কিনা।
তিনি শহিদুল আলমের প্রসঙ্গে বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশনে তার জামিন হয়েছে কিন্তু সেটা চ্যালেঞ্জ করতে নাকি আপিল বিভাগে যাওয়া হবে। এ ছাড়া আরো একাধিক মানবাধিকার সংগঠক এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে টার্গেট করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভিন্নমতাবলম্বী তারা কি বাংলাদেশে কথা বলতে পারবেন না।
তারা কি আইনের শাসন পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। নাকি বাংলাদেশ মানবাধিকারশূন্য হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জানিয়ে তিনি বলেন- এটা সকলেই বলছে শুধু আমরা অধিকার বলছি না। সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও উদ্বেগ জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, অধিকার-এর বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যম ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে- যার কোনো সত্যতা নেই। এ ছাড়া এসব গণমাধ্যমের একটি ছাড়া অন্যগুলো অধিকার-এর কারো মতামত না নিয়েই তা প্রকাশ করেছে। এসময় অধিকার-এর পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলান অধিকার-এর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। কয়েকটি গণমাধ্যমে অধিকার নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদন এবং অধিকার-এর বক্তব্য তুলে ধরেন। এসব প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, অধিকার এগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অধিকার এখনো প্রতিমাসে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তার তথ্যগুলো দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন, মাঠ পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার কর্মীদের পাঠানো প্রতিবেদন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের থেকে নেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমেই করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.