সেই সম্পর্ক নিয়ে ২০ বছর পর মুখ খুললেন মনিকা লিউনস্কি

দুই দশক বা ২০ বছর পর আবার মুখ খুললেন মনিকা নিউনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক নিয়ে ২০ ঘন্টার ইন্টারভিউ দিয়েছেন এঅ্যান্ডই’তে। তার ওপর ভিত্তি করে প্রচার হবে ডকুমেন্টারিভিত্তিক সিরিজ ‘দ্য ক্লিনটন অ্যাফেয়ার্স’। মনিকা লিউনস্কির বয়স যখন ২২ বছর, তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের ইন্টার্ন ছিলেন। ওই সময়ে মনিকার সঙ্গে ক্লিনটনের যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা প্রকাশ পাওয়ার পর ক্লিনটনের বিরুদ্ধে অভিশংসনে ভূমিকা রাখে। তারপর থেকে নারীদের বিরুদ্ধে নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছেন মনিকা। যৌন নির্যাতন বিরোধী মি-টু আন্দোলনে তিনি সোচ্চার হয়েছেন।
তবে নিজের জীবনে সেই ২০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে তিনি নতুন করে আবার কথা বলেছেন ‘দ্য ক্লিনটন অ্যাফেয়ার’-এ। সিরিজটির এমন নামকরণকে মনিকা যথার্থ বলে মনে করেন। তিনি গত সপ্তাহে ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে লিখেছেন, ‘বাই বাই লিউনস্কি স্ক্যান্ডাল’। এতে তিনি ওই সিরিজে কথা বলার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেছেন। মনিকা বলেন, ওই স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়ানোর জন্য ২০ বছর যথেষ্ট সময়। ওই সিরিজ থেকে বেশ কিছু ক্লিপ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তাতে মনিকাকে বলতে শোনা যায় ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত স্যুটে তার সঙ্গে যেসব যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে কথা বলছেন। তা ছাড়া তাদের ওই সম্পর্ককে গোপন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাও গোপন রাখতে পারেন নি তারা। তা নিয়েও কথা বলেছেন মনিকা। গুড মর্নিং আমেরিকায় একটি ক্লিপ প্রচারিত হয়েছে। তাতে মনিকা বলেন, (আমাদের ওই সম্পর্কের বিষয়ে) আমরা দু’জনেই সাবধান ছিলাম। তবে যথেষ্ট সাবধান ছিলাম না।
মনিকা স্মরণ করেন বিল ক্লিনটন কিভাবে তাকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি তাকে বলেছিলেন আরেকজন নারী পলা জোনসের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে মনিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এ সময় তাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল।
এ সম্পর্কে মনিকা বলেন, আমি শিলার মতো শক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার পরিবার ও জনগণের কাছে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিষয়টি ছিল চরম অপমানের। মনিকা বলেন, বিল ক্লিনটন তাকে বলেছিলেন সাক্ষ্য দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখার একটি এফিডেভিটে স্বাক্ষর করতে পারেন মনিকা। তিনি বলেন নি যে, শোনা (মনিকা) তুমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছো না। তিনি বলেন নি, শোন বিষয়টা বাস্তবেই প্রকাশ হতে চলেছে। আমাদেরকে সত্য বলতে হবে।
এরপর বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তার কোন যৌন সম্পর্ক ছিল না এমন একটি ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করেন মনিকা। দু’জনের এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করার জন্য বিল ক্লিনটনকে অভিশংসন করা হয়। তবে সিনেট তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো। ফলে বিল ক্লিনটন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলেন।

No comments

Powered by Blogger.