শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর by মিজানুর রহমান

প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ। সব ফোরামেই বাংলাদেশের মহানুভবতার প্রশংসা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশ এ প্রশংসা পাচ্ছে বিশ্বসভায়। এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ১০২ জন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার থেকে তারা বক্তৃতা দিতে শুরু করেছেন। উদ্বোধনী দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দিয়েছেন।
তার ভাষণে অবশ্য অভ্যাগতরা খুশি হতে পারেননি। কারণ ট্রাম্প তার গ্রেট অ্যামেরিকার জন্য বহুপক্ষীয় ফোরামের চেয়ে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগের ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন। ট্রাম্পের বক্তৃতার পর ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো বক্তৃতা করেছেন। তিনি প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানিয়েছেন, যে দেশ এ চুক্তিতে নেই, তার সঙ্গে অন্যান্য বিশেষত অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়ে ভাববে ফ্রান্স। সংবাদ সম্মেলনেও তিনি তার অবস্থানের ওপর অনড় থাকেন। ইরানী প্রেসিডেন্ট রুহানী এবং তার্কিশ প্রেসিডেন্ট এরদোগানও এ দিন বক্তৃতা করেছেন। রুহানীর বক্তৃতার বড় অংশজুড়ে ছিল নিউক্লিয়ারের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার প্রশ্নে বৈশ্বিক চাপ প্রশ্নে তেহরানের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশন বক্তৃতা করছেন আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর। ওই দিনেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে তার বৈঠক হবে। গতকাল তিনি দিনভর ব্যস্ত কর্মসূচিতে কাটিয়েছেন। ওইদিন বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক এক সভায় বক্তৃতা করেছেন। যোগ দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক ফোরামের সবচেয়ে বড় ফোরামেও। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ যা করেছে তাকে মিরাকল বলা হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখ থেকে এ শব্দটি প্রথম শোনা যায় চলতি বছরের সূচনায়। এখন অন্যরাও তা স্বীকার করছেন। দুর্নীতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশের।
এ নিয়ে উদ্বেগও আছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকছে? না কী নির্বাচনকে ঘিরে এটি অস্থিতিশীলতা এবং অনিশ্চয়তার দিকে যাবে? এমনটি হলে অর্থনৈতিক অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে তা নিয়ে বিশ্বসভার প্রতিনিধিরা সতর্ক পর্যবেক্ষণ দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এর সংস্কারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা একটি বৈশ্বিক জনকল্যাণমুখী সেবা। এই বাহিনীর মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে অবশ্যই ইতিবাচক চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
এটা অনেকের জীবনের আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এই আশার আলোকে সম্মান জানাতে হবে।’ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিসকিপিং (এফোরপি) এর ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বক্তব্য রাখেন। শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের এখন নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওই সব স্থানে শান্তি বজায় রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে তারা ক্রমবর্ধমান হুমকির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মিশনগুলো প্রায়ই বিভিন্ন মান ও ধরনের বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে থাকে। আর এটা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানগুলোকে আরো জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে। তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া উচিত। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ক্ষমতা ও সরঞ্জামাদি তাদের দেয়া উচিত।’
শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো রাষ্ট্রের সদস্যদের মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং সেই অনুযায়ী কতটা নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে তা বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবশ্যই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমরা আশা করছি এ ফোর পি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে তাদের ‘লক্ষ্য পূরণে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে’ সহায়তা করবে।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দি ডিক্লিয়ারেশন অব শেয়ার্ড পিসকিপিং কমিটমেন্টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল বয়ে এনেছে। এতে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং যা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে রাজনৈতিক অগ্রগণ্যতাকে পুনঃনিশ্চিত করেছে। জীবন রক্ষার জন্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বিনিয়োগ একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যয় ও শান্তিরক্ষী কমালে মাঠ পর্যায়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, এতে ফ্রন্টলাইনে যারা আছেন তাদের কথা অবশ্যই শুনতে হবে।
শান্তিরক্ষা মিশনে যে সব দেশের সেনা ও পুলিশ অবদান রাখছে নিরাপত্তা পরিষদ এবং জাতিসংঘ সচিবালয়কে তাদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষণায় অর্থবহ অগ্রগতির পাশাপাশি অঙ্গীকারের মূল্যায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ এতে শরিক হতে প্রস্তুত রয়েছে। শান্তিরক্ষাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে আমরা কখনো পিছপা হইনি। চলতি বছর আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ৩০ বছরের অবদান উদযাপন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশি অনেক শান্তিরক্ষী দায়িত্বরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো এই দায়িত্ব পালনে আমরা কুণ্ঠিত নই। এখন আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ে আমাদের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করতে পারি। তিনি বলেন, আমরা তাদের ভালো এবং অগ্রসর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে। তারা জনগণের হৃদয় ও মন জয়ের লক্ষ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিজেদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা নিজস্ব সম্পদে মালীতে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সুরক্ষিত যানবাহন সরবরাহ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই নীতি অন্যান্য মিশনেও অনুসরণ করবো। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ব্যক্তিগত আগ্রহে নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘আমরা প্রথমে আমাদের নারী হেলিকপ্টার পাইলটদের কঙ্গোতে মোতায়েন করেছি, এটি আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, আমরা সদর দপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ে আরো সিনিয়র নেতৃত্ব নিয়োগ দিতে পারলে বাংলাদেশ খুশি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যৌন অপরাধ ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করছে। ‘আমি মহাসচিবের সার্কেল অব লিডারশিপে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি।’
প্রযুক্তি হস্তান্তরকে সহজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান: ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প খরচে প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে স্বল্প ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তরে বিশ্ব সমপ্রদায়ের একটি দায়িত্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের প্লেনারি হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এক প্লেনারি সেশনে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো, হল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, জনসন এন্ড জনসন এর সিইও এবং মজিলা ফায়ার ফক্সের সিইও এই প্লেনারি সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা সেশনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবহের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিভিন্ন দেশের কর্মকাণ্ডের প্রতি বিশেষ করে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রতি দৃষ্ট্পিাত করেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে তাদের চিন্তা-ভাবনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এর উত্তরে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ভূখণ্ডের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশ। আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জই হচ্ছে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা, যাতে করে তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাতে করে সকলে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল পেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য স্বল্প ব্যয়ে এবং সহজে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা বৃহৎ প্রযুক্তি উৎপাদনকারী দেশ নই, তাই আমরা যাতে করে সহজে এবং স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি পেতে পারি সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এর জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতায় যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাই তার সরকার বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে শিল্প বিপ্লবের আমলে তাদের কর্মচ্যুত হবার ঝুঁকির মধ্যে পড়তে না হয়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষার প্রসারে তার সরকারের পদক্ষেপ সমূহ তুলে ধরেন, যারমধ্যে রয়েছে-বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, নানা বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান এবং নারী শিক্ষাকে উৎসাহ প্রদান।
‘এখন প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে বৃত্তি-উপবৃত্তি পাচ্ছে’ বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার শুরুতেই তাকে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট প্রায় ১০ লাখের অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদানের জন্য অভিনন্দিত করেন। এ সময় উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীগণ জোরে করতালির মাধ্যমে এই অভিনন্দনকে স্বাগত জানান। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিওইএফ) প্রেসিডেন্ট বোর্গে ব্রেনডি আগামী জানুয়ারি মাসে সুইজারল্যান্ডের দ্যাভোসে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালীন হোটেল গ্রান্ড হায়াতে সৌজন্য সাক্ষাতে ব্রেনডি এই আমন্ত্রণ জানান।

No comments

Powered by Blogger.