প্রশ্নফাঁস ইস্যু: রাজনৈতিক বিবেচনার কেন্দ্র ও ভেন্যু বাতিল হচ্ছে by নূর মোহাম্মদ
পাবলিক
পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বন্ধ এবং শৃঙ্খলা আনতে শিক্ষা বোর্ডগুলো রাজনৈতিক
বিবেচনায় করা কেন্দ্র ও ভেন্যু বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে এ
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার আন্তঃবোর্ডের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত
হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েও আটকাতে পারেনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
দেশের সবচেয়ে বেশি ভেন্যু বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এর
সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সচিব দপ্তর জড়িত। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তা আটকাতে
পারেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধার
মাধ্যমে পাওয়া কেন্দ্র থেকে এসএসসি প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ও
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এর প্রেক্ষিতে এসব কেন্দ্র ও ভেন্যু বন্ধের
সুপারিশ করা হয়। সর্বশেষ প্রশ্নফাঁস নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটিতে
বৈঠকে এসব রাজনৈতিক ও ঢাকা বোর্ডের বিবেচনায় দেয়া পরীক্ষা বিতর্কিত কেন্দ্র
ও ভেন্যু বাতিল করার জন্য মতামত দেন। বৈঠকে পুলিশ, র্যাব, ঢাকা জেলা
প্রশাসক, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ মতামত দেন।
গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সভা কক্ষে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভেন্যু না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী বছর হওয়ায় বিজি প্রেসে কাজের চাপ বেড়ে যাবে। সে কারণে আগে ভাগেই প্রশ্ন ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগের মতোই ১লা নভেম্বর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তঃ শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, আমরা ভেন্যু রাখবো না। কেন্দ্রের সংখ্যাও কমিয়ে আনা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার কাজ শেষ করবো। গত ৪ই এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন পৌঁছাতে দেরি হয়। প্রশ্নফাঁসসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। ভেন্যু প্রয়োজনের বাতিল করা হবে। কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হবে। তিনি বলেন, এখন প্রশ্নসেট লটারির মাধ্যমে ২৫ মিনিট আগে নির্ধারিত হয়। সেই প্রশ্ন ভেন্যুতে পৌঁছাতে দেরি হয়। এসব কারণে ভেন্যু বাতিল হওয়ার দরকার বলে তিনি মত দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা যেভাবে হয়েছে এভাবে চললে, আগামীতে কেন্দ্রে কোনো পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট রাখার প্রয়োজন হবে না। এজন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি। সচিব বলেন, ফাঁসকারী মহলটি বসে নেই। তারা যদি একটু গ্যাপ পায় তবে আবারো প্রশ্নফাঁস শুরু করবে। এজন্য আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন চাপের কারণে ভেন্যুর অনুমোদন দিতে হয়। আগামীতে ভেন্যু তুলে দেয়া হবে। বৈঠকে ভেন্যু বাণিজ্যের জন্য সবাই ঢাকা বোর্ডের দিকে সবাই আঙুল তুলেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
বৈঠকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে কয়টি কারণ পেয়েছি তার মধ্যে বিতর্কিত কেন্দ্র ও ভেন্যুগুলো দায়ী। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে সেট নির্ধারণ হওয়ার এসব ভেন্যু নিয়ে আরো ঝামেলা হয়েছে। কারণ ২৫ মিনিটে কেন্দ্র প্রশ্ন পৌঁছানো যায়নি। এর আগে এসএসসি পরীক্ষায় ভেন্যুতে প্রশ্ন পৌঁছানোর সময় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, মহানগরগুলোতে মনিটরিং করার মতো যথেষ্ট লোকবল থাকলেও মহানগরের বাইরে কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে এবং এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে যেতে সময়ও বেশি লাগে এবং মনিটর করার লোকবলও যথেষ্ট থাকে না।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফৌজিয়া রহমান বলেন, কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেট খুলে ভেন্যুতে নেয়ার সময় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ রয়েছে। তিনি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার ভেন্যু নিয়ে প্র্রশ্ন তুলেন। সভা শেষে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ভেন্যু বাতিল করা উচিত। না হলে ভেন্যুগুলোকে কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হোক। ভেন্যু বাতিল করলে প্রশ্ন ফাঁসের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাবে।
সভায় শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে সবাই শিক্ষামন্ত্রণালয়কে দায়ী করে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কারণ পরীক্ষার সব ব্যবস্থা করার দায়িত্বে থাকে বোর্ডগুলো। শিক্ষামন্ত্রণালয় কেবল তদারকি বা সহযোগিতা করে থাকে। অথচ সব দোষ যায় মন্ত্রণালয়ের ওপর। কিন্তু প্রশ্নফাঁস হয় বোর্ড দায়িত্ব নিতে চাই না। জবাবে সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো নিবো। আপনাদের মতামত নিবো। তিনি আরো বলেন, মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এখনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যুর অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। মূল কেন্দ্রে থেকে অনেক দূরে ভেন্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বোর্ডের অধীন রাজধানীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত স্কুল ও কলেজে ভেন্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাসের হার ও জিপিএ’র সংখ্যা বাড়াতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অলিখিতভাবে একে অপরের মধ্যে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো অননুমোদিত স্থানে পরীক্ষা দিতে পারবে না। বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী অখণ্ড ক্যাম্পাসেই কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। তবে কেন্দ্র সংলগ্ন কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিতে হলে বোর্ড থেকে ভেন্যুর অনুমোদন নিতে হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কেন্দ্র সচিব) প্রতি ভেন্যুতে একজন হল সুপার নিয়োগ দিবেন। তবে পরীক্ষার এই নীতিমালাকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাত্তাই দেয় না।
গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সভা কক্ষে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভেন্যু না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী বছর হওয়ায় বিজি প্রেসে কাজের চাপ বেড়ে যাবে। সে কারণে আগে ভাগেই প্রশ্ন ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগের মতোই ১লা নভেম্বর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তঃ শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, আমরা ভেন্যু রাখবো না। কেন্দ্রের সংখ্যাও কমিয়ে আনা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার কাজ শেষ করবো। গত ৪ই এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন পৌঁছাতে দেরি হয়। প্রশ্নফাঁসসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। ভেন্যু প্রয়োজনের বাতিল করা হবে। কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হবে। তিনি বলেন, এখন প্রশ্নসেট লটারির মাধ্যমে ২৫ মিনিট আগে নির্ধারিত হয়। সেই প্রশ্ন ভেন্যুতে পৌঁছাতে দেরি হয়। এসব কারণে ভেন্যু বাতিল হওয়ার দরকার বলে তিনি মত দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা যেভাবে হয়েছে এভাবে চললে, আগামীতে কেন্দ্রে কোনো পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট রাখার প্রয়োজন হবে না। এজন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি। সচিব বলেন, ফাঁসকারী মহলটি বসে নেই। তারা যদি একটু গ্যাপ পায় তবে আবারো প্রশ্নফাঁস শুরু করবে। এজন্য আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন চাপের কারণে ভেন্যুর অনুমোদন দিতে হয়। আগামীতে ভেন্যু তুলে দেয়া হবে। বৈঠকে ভেন্যু বাণিজ্যের জন্য সবাই ঢাকা বোর্ডের দিকে সবাই আঙুল তুলেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
বৈঠকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে কয়টি কারণ পেয়েছি তার মধ্যে বিতর্কিত কেন্দ্র ও ভেন্যুগুলো দায়ী। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে সেট নির্ধারণ হওয়ার এসব ভেন্যু নিয়ে আরো ঝামেলা হয়েছে। কারণ ২৫ মিনিটে কেন্দ্র প্রশ্ন পৌঁছানো যায়নি। এর আগে এসএসসি পরীক্ষায় ভেন্যুতে প্রশ্ন পৌঁছানোর সময় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, মহানগরগুলোতে মনিটরিং করার মতো যথেষ্ট লোকবল থাকলেও মহানগরের বাইরে কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে এবং এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে যেতে সময়ও বেশি লাগে এবং মনিটর করার লোকবলও যথেষ্ট থাকে না।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফৌজিয়া রহমান বলেন, কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেট খুলে ভেন্যুতে নেয়ার সময় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ রয়েছে। তিনি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার ভেন্যু নিয়ে প্র্রশ্ন তুলেন। সভা শেষে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ভেন্যু বাতিল করা উচিত। না হলে ভেন্যুগুলোকে কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হোক। ভেন্যু বাতিল করলে প্রশ্ন ফাঁসের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাবে।
সভায় শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে সবাই শিক্ষামন্ত্রণালয়কে দায়ী করে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কারণ পরীক্ষার সব ব্যবস্থা করার দায়িত্বে থাকে বোর্ডগুলো। শিক্ষামন্ত্রণালয় কেবল তদারকি বা সহযোগিতা করে থাকে। অথচ সব দোষ যায় মন্ত্রণালয়ের ওপর। কিন্তু প্রশ্নফাঁস হয় বোর্ড দায়িত্ব নিতে চাই না। জবাবে সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো নিবো। আপনাদের মতামত নিবো। তিনি আরো বলেন, মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এখনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যুর অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। মূল কেন্দ্রে থেকে অনেক দূরে ভেন্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বোর্ডের অধীন রাজধানীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত স্কুল ও কলেজে ভেন্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাসের হার ও জিপিএ’র সংখ্যা বাড়াতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অলিখিতভাবে একে অপরের মধ্যে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো অননুমোদিত স্থানে পরীক্ষা দিতে পারবে না। বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী অখণ্ড ক্যাম্পাসেই কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। তবে কেন্দ্র সংলগ্ন কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিতে হলে বোর্ড থেকে ভেন্যুর অনুমোদন নিতে হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কেন্দ্র সচিব) প্রতি ভেন্যুতে একজন হল সুপার নিয়োগ দিবেন। তবে পরীক্ষার এই নীতিমালাকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাত্তাই দেয় না।
No comments