জিজ্ঞাসাবাদের পর মুক্ত বিডিজবস’র প্রধান নির্বাহী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ পেয়ে চাকরির অনলাইন বাজার বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী (সিও) একেএম ফাহিম মাসরুরকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা তাকে আটক করে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হয়। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ- কমিশনার (ডিসি) মো. আলীমুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, এক মামলায় তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাদীর এজাহারের সঙ্গে কিছু স্ক্রিনশটও ছিল। তা যাচাই-বাছাই করছি। তদন্তে আরো টেকনিক্যাল সাপোর্টের প্রয়োজন আছে। এ পর্যন্ত তার অপরাধের কোনো সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ৫৭ ধারায় একটি মামলা হয়েছিল। এরপর তাকে আটক করা হয়। বিকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
আটকের পর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে বিদ্রূপ করায় তাকে আটক করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে উস্কানিমূলকভাবে মিথ্যা ও অপমানমূলক স্ট্যাটাস ও তথ্য আপলোড করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার অপরাধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ফাহিম মাসরুরের বিরুদ্ধে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২২শে এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. আল সাদিক মামলাটি করেন। এতে ফাহিম মাসরুরের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আপলোড ও শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের সঙ্গে বাদী ওই ধরনের ৮টি স্ক্রিনশট যুক্ত করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফাহিম মাসরুর দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠা করা বিডিজবস এখন দেশের সবচেয়ে বড় চাকরির অনলাইন বাজার। এছাড়া বাংলা সোশ্যাল মিডিয়া ‘বেশতো’ এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আজকের ডিল’-এরও প্রধান নির্বাহী। তিনি দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ও সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির পরিচালক। এর আগে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.