নবীগঞ্জে সাংবাদিক কিবরিয়ার হাত কাটার হুমকি

নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কেশবচর গ্রামে আপন চাচীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টাকারী লম্পট জুয়েল ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপের পাশাপাশি লম্পট জুয়েল কিছু অসাধু মানুষের সহযোগিতায় নবীগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে একটি অনলাইন পত্রিকায় নানান কটুক্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছাপার ঘটনায় নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অপরদিকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও পাঠক প্রিয় অনলাইন পত্রিকা “আমাদের নবীগঞ্জ” সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি ও দৈনিক এক্সপ্রেস পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার কিবরিয়া চৌধুরীকে লম্পট জুয়েলের লন্ডন প্রবাসী বড় ভাই ফরহাদ উদ্দিন মাহেদ ফেইসবুকের মাধ্যমে হাত কাঠার হুমকি দেয়ায় নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং আগামী সোমবার নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের এক জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে। নবীগঞ্জের সাহসী সিনিয়র সাংবাদিক কিবরিয়া চৌধুরীকে ফেইসবুকে মাধ্যমে এভাবে হাত কাটার হুমকি দেওয়ায় নবীগঞ্জের সর্বত্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এনিয়ে ফেইসবুক জৎগতে তোলপাড় হচ্ছে। ফেইসবুকে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো প্রতিবাদী কন্ঠে, এই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আহব্বান জানাচ্ছেন প্রশাসনকে। উল্লেখ্য যে, গত ২২মে বিভাগীয় শহর সিলেটের নুরজাহান হাসপাতালে লম্পট জুয়েল তার চাচীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কেশবচর গ্রামের (বর্তমানে নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে বসবাস করেন) ছালিক মিয়া অসুস্থ হলে তার স্ত্রী (৩২) স্বামীকে সিলেট নুরজাহান হাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করেন।
ছালিক মিয়ার অসুস্থতার খবর পেয়ে তারই বড় ভাই নামদার মিয়ার ছেলে আউশকান্দি বাজারের জালালাবাদ হোমিও ফার্মেসীর পরিচালক ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল আহমেদ চাচাকে দেখতে নুরজাহান হাসপাতালে যায়। এসময় অসুস্থ বৃদ্ধ চাচা ছালিক মিয়ার স্ত্রীর প্রতি জুয়েলের কু-দৃষ্টি পড়ে। সে অসুস্থ চাচার পাশে থাকার বাহানা করে রাতে হাসপাতালে তাদের কক্ষে থেকে যায়। রাত একটু গভীর হতেই লম্পট জুয়েল তার চাচীর বিছানায় গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘক্ষন বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক চাচীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয় লম্পট জুয়েল। পরে তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে তার চাচীর শরীরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ভিডিও ছবি ধারন করে হুমকি দেয় বিষয়টি কাউকে জানালে ওই সব ভিডিও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয় লম্পট জুয়েল। পরে বিষয়টি ওই মহিলা তার স্বামীসহ আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে দিলে লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে নির্যাতিত মহিলা ও তার ভাই আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এ ব্যাপারে আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুর্শেদ আহমদ জানান, ‘চাচীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত জুয়েল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা যায় দরজায় তালা ঝুলছে। এব্যাপারে আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুর্শেদ আহমদ আরো জানান, ঘটনার পর থেকে সে দোখান না খোলার কারণে তাকে না পাওয়ায় বিচার করা যাচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.