ইন্দোনেশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত গেলেন ‘গাঞ্জা কুইন’

ইন্দোনেশিয়ায় দোষী সাব্যস্ত অস্ট্রেলিয়ান মাদক পাচারকারী শ্যাপেল করবি ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ বছরের প্যারল শেষে নিজ দেশে ফেরত গেছেন। সাবেক এই বিউটি থেরাপিস্টকে ২০০৪ সালে বালি বিমানবন্দরে আটক করা হয়। কারণ, তার সার্ফিং গিয়ারে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ৪.২ কেজি গাঁজা। পরের বছরই তার সাজা হয়। এ মামলার ফলে দুই প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটে। অনেক অস্ট্রেলিয়ান করবির কড়া সাজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে শ্যাপেল করবি নিজেকে সবসময়ই নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। করবিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সময় শ’ শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তার বোন মার্সিডিস তাকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা থেকে আড়ালে রেখে গাড়িতে তোলেন। করবি নিজে পরে এক ইন্সট্রাগ্রাম ভিডিওতে গাড়ির ভেতর থেকে সাংবাদিকদের কাণ্ড ধারণ করে পোস্ট করেন। বালিতে নিজের বিরাট বাড়ি থেকে ব্রিজবেনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার মাদক আইন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেক কঠোর। ইন্দোনেশিয়ার আইনে গাঁজা ও অন্যান্য বিপজ্জনক মাদক হেরোইন ও কোকেনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ২০১৫ সালে, দুই অস্ট্রেলিয়ানকে ইন্দোনেশিয়ায় মাদক বহনের দায়ে ফাঁসি দেয়া হয়। তবে করবি নিজ দেশে সহানুভূতিই পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম কারাগারে করবির মানসিক অসুস্থতাসহ বিভিন্ন সংগ্রামের গল্প ফলাও করে ছাপে। তবে ইন্দোনেশিয়ায় তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখা হয়। বালি কারাগার প্রধান সুরুং পাসারিবু বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করবো যাতে তিনি অনুতপ্ত হন। খোদা চান মানুষ সঠিক পথে যাক।’ উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে আপিলের পর করবির সাজা ৫ বছর কমানো হয়। এছাড়া ভালো আচরণের জন্য কিছুটা সাজা মওকুফ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে তাকে নিয়ে ‘গাঞ্জা কুইন’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.