কানাডার পার্লামেন্টে ইসলামোফোবিয়া বিরোধী প্রস্তাব পাস



কানাডার আইনপ্রণেতারা হাউজ অব কমন্সে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম নিয়ে অহেতুক ভয় বা ঘৃণা’র বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। এতে করে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের রাস্তা উন্মুক্ত করলো দেশটি। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের জোরালো উৎসাহ নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়, প্রস্তাবটি সহজেই পাস হয়েছে। প্রস্তাবে ‘ঘৃণা ও ভয়ের ক্রমবর্ধমান পরিবেশ দমনের প্রয়োজনীতায় স্বীকৃতি দেয়া’ এবং ‘ইসলামোফোবিয়া ও সকল ধরণের নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য ও ধর্মীয় বৈষম্যকে নিন্দা জানানোর’ আহ্বান জানানো হয় সরকারের প্রতি।
খবরে আরও বলা হয়, জানুয়ারি মাসে কুইবেকের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন মুসলিম ব্যক্তি নিহত হন। এরপর থেকে সকল ধরণের ধর্মীয় বৈষম্যের প্রকাশ্যে নিন্দা করার জন্য ট্রুডো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কানাডাজুড়ে বিভিন্ন শহরে একাধিক মসজিদ ও সিনেগগে ভাংচুর, ধংসযজ্ঞ চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
কমন্সে উত্থাপিত ইসলামোফোবিরা বিরোধী নন-বাইন্ডিং প্রস্তাবটিতে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ও বামপন্থী নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রায় সকল ডেপুটি সমর্থন দেন। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ায়, সরকার এ ইস্যু কিভাবে মোকাবেলা করতে পারে সে বিষয়ে গবেষণা শুরুর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংসদসীয় একটি কমিটিকে। গবেষণার প্রেক্ষিতে সুপারিশ দাখিল করার জন্য নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ইসলামোফোবিয়া সহ নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য ও ধর্মীয় বৈষম্য কমাতে বা নির্মূল করতে কিভাবে সরকারের পদক্ষেপ বা করণীয় নিরূপন করা যায়’Ñ তা গবেষণায় খতিয়ে দেখা উচিত।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন টরোন্টো উপশহর মিসিসাউগার ডেপুটি ইকরা খালিদ। ওদিকে, প্রস্তাবটি নিয়ে বিভক্ত জনমত দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অ্যাঙ্গাস রিড ইন্সটিটিউট প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের ৪২ শতাংশ এর বিরুদ্ধে ভোট দিতেন। আর এতে সমর্থন দিতেন ২৯ শতাংশ। বাকিরা কোন অভিমত দেন নি। 

No comments

Powered by Blogger.