ঘুষের বিনিময়ে তালিকাভুক্ত!

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বরিশালে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের (বিএলপি) সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উৎকোচ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বিএলপি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করেছেন বলে বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে তা খুবই দুঃখজনক। বিএলপি প্রকল্পে পাঁচটি উপজেলায় ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ কেন্দ্র স্থাপন করে ছয় মাস ধরে পাঠদান করা হবে। এর অধীনে ১৮ হাজার দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানো হবে। যেসব বেসরকারি সংস্থাকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি সেগুলোর প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিএলপি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় এনজিওর মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বানপত্র (আরএফপি) দেওয়ার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগ্রহপত্র আহ্বান করে।
এতে শতাধিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহপত্র জমা দেয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করে ১৬টি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করার কথা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিএলপি প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সুবিমল চন্দ্র হালদার উৎকোচ নিয়ে অযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করেছেন। কোনো দিন উপানুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নেয়নি ও অফিস নেই, এমন প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সুবিমল চন্দ্র হালদার অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আমাদের দেশে সরকারি কাজে ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশি। বিএলপি প্রকল্পের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অবশ্যই তদন্ত করতে হবে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগ সত্যি হলে ঘুষ গ্রহণকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বিএলপি প্রকল্পে যেন যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হয়, সে পদক্ষেপ নিতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.