ট্রাম্পের কারচুপির আশংকা হাস্যকর : ওবামা

মার্কিন নির্বাচনে কারচুপির আশংকাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কারচুপি করে জয় ছিনিয়ে নেয়া হতে পারে- রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। তার কোনো সেন্স নেই।’ বৃহস্পতিবার পেন্টাগনে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবামা। পরে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবামা বলেন, ‘নির্বাচনের দিন জরিপে যদি ট্রাম্প ১০-১৫ পয়েন্টে এগিয়ে থাকেন, আর যদি হেরে যান, তখন অভিযোগ করলে তবু শোনা যেত। আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তিনি একেবারেই অযোগ্য। পরমাণু শক্তিধর আমেরিকার নেতৃত্ব তার হাতে তুলে দেয়া আশংকার।’ সংবাদ সম্মেলনে মূলত ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়ার পরিস্থিতি ও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমন নিয়ে কথা বলেন ওবামা। তিনি বলেন, আইএস দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এখনও আশংকার কারণ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের দখলে থাকা ভূমি হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি সংগঠনটি বিদেশে হামলা চালাচ্ছে বলে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। একাকী বা ছোট ছোট দলে হামলা চালানোর বিষয়টি সত্য। ওবামা বলেন, স্বঘোষিত রাজধানী সিরিয়ার রাকা শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে আইএস। ইরাকের মসুল থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাবে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
আইএস যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো অংশীদারদের পরাজিত করতে পারবে না। তবে তিনি সতর্কবাণী করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা নির্বিচারে বেসামরিক লোকদের হত্যা ও যুক্তরাষ্ট্রে যারা ঢুকবে তাদের ধর্মীয় পরীক্ষা শুরু করার মতো ‘খারাপ’ সিদ্ধান্ত নিলে ওয়াশিংটন নিজেই পরাজিত হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছর জানুয়ারিতে মার্কিন নাগরিকের মুক্তিতে ইরানকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে ওবামার কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিকে নতুন এক জরিপে জনপ্রিয়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন। বৃহস্পতিবার ম্যাকক্লার্থি/ ম্যারিস্ট প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর হিলারির এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার ঘটনা। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিলারিকে সমর্থন দিচ্ছেন ৪৮ ভাগ ভোটার আর ট্রাম্পকে ৩৩ ভাগ। জুলাই মাসেও হিলারির জনসমর্থন ছিল ৪২ ভাগ আর ট্রাম্পের ৩৯ ভাগ। হিলারির মনোনয়ন পাওয়ার পর কোনো জরিপেই ট্রাম্প তাকে পেছনে ফেলতে পারেননি। বরং প্রতিটি জরিপেই ট্রাম্পের জনসমর্থনে ধসের তথ্য আসছে। এদিকে স্ত্রীকে নিয়ে নতুন নতুন বিতর্কের পাশাপাশি ট্রাম্প তার নিত্যনতুন বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে নিজ দলের বিভাজনকেও প্রকট করে তুলেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয়ের আচ পেয়ে ট্রাম্প নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযানে উঠেপড়ে লেগেছেন।

No comments

Powered by Blogger.