বুশের চেয়েও বেশি ভোগাবেন ট্রাম্প

আকস্মিকভাবে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে পা দিলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিমধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থানও পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন অল্প ক’দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন মুলুকসহ সারা বিশ্বে তাকে ঘিরে এখন জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। ভক্ত-সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেও প্রার্থিতা নিশ্চিত করেই ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন বিশ্বনেতাদের মনে। আসছে ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে যদি প্রেসিডেন্টের চাবিকাঠি চলে যায় ট্রাম্পের হাতে, তবে দারুণভাবে বিশ্বকে ভোগাবেন তিনি। সেই ভোগান্তির মাত্রা ‘বিশ্ব অস্থিরতা’র কর্ণধার জর্জ বুশকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। শনিবার দি ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নএতে বলা হয়েছে, যদি ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন, তার উচিত হবে বুশকে ধন্যবাদ জানানো। কারণ, তার আগেই বিশ্ব অরাজকতা সৃষ্টির পথ দেখিয়ে গেছেন বুশ। সেই পথ বেয়ে না চললেও তার থেকে ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বকে নাচাবেন ট্রাম্প।
প্রাথমিক নির্বাচনের প্রচারণায় তার বিতর্কিত বাচনভঙ্গির সূত্র ধরে এমনটাই আঁচ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি অনেকেই ট্রাম্পকে ‘বুশ ব্রান্ড’-এর প্রোডাক্ট বলেও সম্বোধন করেছেন। বলা হয়েছে, যদি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষের দিকে চোখ রাখতে বলা হয়, তবে অধিকাংশের মনে জর্জ ডব্লিউ বুশের নাম ভেসে উঠবে। বুশকে বিশ্বমঞ্চের খলনায়ক হিসেবেও মূল্যায়ন করেন অনেকে। অসচেতনভাবে হোক আর জেনে-শুনে হোক পৃথিবীটাকে তপ্ত কড়াইয়ে পরিণত করেছেন তিনি। আর অধিকাংশ মার্কিনিও মনে করেন, একরোখা বুশ বিশ্বব্যাপী আমেরিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওসামা বিন লাদেনকে বধের নামে ইরাক আগ্রাসন থেকে শুরু করে সাদ্দামের পতন পর্যন্ত সব কাজে সমানভাবে সমালোচিত বুশ। এমনিভাবে বুশের পাশে খলনায়কের তালিকায় ট্রাম্পের নামটিও যোগ হতে পারে বলে বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। ইসলাম নিয়ে কটূক্তি, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দেয়া, মেক্সিকান ও নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কারণে এমন উপাধি পাওয়ার যোগ্য ট্রাম্প। এদিকে উগ্রপন্থী মনোভাবের দিক দিয়ে ট্রাম্প এগিয়ে বলে মনে করেন অধিকাংশ বিশ্লেষক। অন্যদিকে ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছে রড্রিগো দুতেরতো, যাকে অপরাধীর যম নামে অ্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অপরাধী ও মাদকসেবীদের ধ্বংস করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন। এমনকি এক অস্ট্রেলীয় মিশনারি কর্মীকে ধর্ষণ নিয়ে মজা করে এ নেতা বলেন, এ ধর্ষণে আমারই নেতৃত্ব দেয়া উচিত ছিল। এমন বিতর্কিত মন্তব্য করার পরও প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। তবে আমেরিকাতে নয় কেন?

No comments

Powered by Blogger.