জার্মানির তিন রাজ্যের ভোটে ম্যার্কেলের নীতির পরীক্ষা

আঙ্গেলা ম্যার্কেল
জার্মানির তিন রাজ্যে গতকাল রোববার আঞ্চলিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনকে ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের অভিবাসন নীতির পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় নাগরিকদের একাংশের ক্ষোভের ওপর ভর করে ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) নির্বাচনে ভালো করার প্রত্যাশা করছে। জার্মানির তিন রাজ্য বাডেন-ভুয়েটেমবার্গ, রাইনল্যান-প্যালাটিনো এবং স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের আঞ্চলিক পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি। গত বছর শুরু হওয়া শরণার্থীদের ঢলের পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। উদার অভিবাসন নীতি অনুসরণ করে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মধ্যপ্রাচ্যে গৃহযুদ্ধের ফলে গৃহহারা হওয়া শরণার্থীদের জন্য তাঁর দেশের দ্বার খুলে দেন।
জার্মান নেতার এই নীতির প্রতি একধরনের গণভোট এই নির্বাচন। জার্মানির ডুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ইয়েন বালহার বলেন, এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরণার্থী নিয়ে সরকারের বিতর্কিত নীতির একটি অ্যাসিড টেস্ট এই নির্বাচন। নির্বাচনের আগে পরিচালিত একাধিক জরিপে দেখা গেছে, ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং এর ছোট শরিক সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সমর্থন পড়তির দিকে। অন্যদিকে এএফডির জনপ্রিয়তা বেশ বাড়ছে। সিডিইউয়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাডেন-ভুয়েটেমবার্গে পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, দলটির সমর্থন ১০ শতাংশ কমে গেছে। ১১ শতাংশ জনপ্রিয়তা বেড়েছে এএফডির। রাজ্যে সিডিইউয়ের প্রার্থী গুইডো উলফ গতকালের নির্বাচনকে তাঁর দলের জন্য ‘সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.