আসামে ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারী তাড়াব

নরেন্দ্র মোদি।
আসামে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজ্য থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের’ বিতাড়িত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল শনিবার আসামে প্রথম দিনের মতো ভোট প্রচারে এসে মোদি এই ঘোষণা দেন। প্রচারণায় উন্নয়নের পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নকে মূল ইস্যু করেছেন নরেন্দ্র মোদি। টানা পনেরো বছর ধরে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের ‘অনুন্নয়নকে’ কটাক্ষ করে মোদির ঘোষণা—‘উন্নয়ন, দ্রুত উন্নয়ন আর সার্বিক উন্নয়ন’ই তাঁর লক্ষ্য। তাঁর ঘোষণা, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর বিরুদ্ধে তাঁর কোনো ‘লড়াই’ নেই। ‘গরিবীর বিরুদ্ধে লড়াই’-এ শামিল হয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার দিল্লি থেকে উড়ে এসে একই দিনে চার-চারটি জনসভা ও একটি ‘মতবিনিময়’ সভা করে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বেআইনিভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা হবে।’ আজ রোববার ফের আসাম সফরে আসছেন মোদি। ১২৬ বিশিষ্ট আসাম বিধানসভায় ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিজেপি।
আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করলেও একাই প্রার্থী দিয়েছে ৯১টি আসনে। ৪ এপ্রিল, সোমবার আসামের প্রথম দফায় ৬৫টি আসনে ভোট। দ্বিতীয় দফায় ঠিক পরের সোমবার, ১১ এপ্রিল ভোট। বিজেপি এবার আসামে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেছে ‘বঙাল খেদা’ আন্দোলনের নেতা তথা মোদি মন্ত্রিসভার ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে। উত্তর আসামের তিনসুকিয়ায় দাঁড়িয়ে মোদির প্রশ্ন, ‘সুখিয়া কোথায়, সবই তো দুঃখিয়া নজরে আসছে!’ তাঁর দাওয়াই, ‘গরিবের জন্য শিক্ষা, বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর বৃদ্ধদের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা করলেই আসামের ছবিটা পাল্টে যাবে।’ চা-বাগানে বিশাল ভোটব্যাংক মাথায় রেখে আপার আসামে প্রধানমন্ত্রী শোনালেন, ‘ছোটবেলায় আসামের চা বিক্রি করে ক্রেতাদের মুগ্ধ করতাম। এখানকার বাগানের চা খেয়ে ক্রেতারা মুগ্ধ হতেন!’ বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ মাজুলিতে ভোট প্রচারে মোদি দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসকে বিঁধতে কার্পণ্য করেননি। বললেন, ‘কংগ্রেস টাকা খায় বলে শুনেছি। কিন্তু জানা ছিল না, এমন সুন্দর দ্বীপকেও ওঁরা খেয়ে নিতে পারে!’

No comments

Powered by Blogger.