আদিত্যের সঙ্গে মাত্র তিন বছরের সম্পর্ক আমার

*আদিত্যের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি বরাবরই গোপন রেখেছিলেন কেন?
**আমি আর ১০ জন অভিনেত্রীর মতো নই। প্রেম করব আবার সেটা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হবে। মূলত পরিবারের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছি। আমি জানি মিডিয়ায় প্রচার হলে বিষয়টি ঘোলাটে হওয়ার আশংকা থাকে। ফলে আমার ভক্তদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার একটা শংকা বরাবরই ছিল।
*আপনার সঙ্গে আদিত্যের পরিচয় কবে থেকে?
**আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ ছবির সেটে। সেটা করণ জোহরের মাধ্যমে। যদিও আদিত্য বলেছে আমার প্রথম ছবি ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’-এর সময়। একটি রেস্তোরাঁয় ছবির প্রমোশনে গেলে সে আমাকে দেখতে পায়। অবশ্য আদিত্যের স্মৃতি শক্তি খুবই প্রখর। অনেক বছর আগের কথাও তার মনে থাকে।
*বিয়ের আগে আপনাদের জানা শোনা কত দিনের?
**বিয়ের তিন বছর আগে থেকে আমাদের মধ্যে যোগাযোগটা বেড়ে যায়। তখনই দু’জন দু’জনকে বুঝতে শিখেছি। ভালো লাগা, মন দেয়া-নেয়া শুরুও তখন থেকেই হয়। বিশেষ করে আদিত্যের যখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তখন আমার কাছে মনে হয়েছে তার একাকীত্বে কেউ একজন পাশে থাকা উচিত। আর যেহেতু আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাহলে আমি থাকলেই বা দোষের কী।
*আদিত্যের বিচ্ছেদের আগে কি কখনও তার প্রতি রোমান্স কাজ করেছিল?
**কখনোই না। একজন ভালো বন্ধু ছাড়া তাকে অন্য চোখে কখনোই দেখিনি। কর্মক্ষেত্রে বরাবরই আমরা একে অপরের শুধুই বন্ধু ছিলাম। আদিত্যের বিচ্ছেদের পর হয়তো ওর প্রতি আমার ভালোলাগা কাজ করেছে। সেটা একসময় প্রণয়ে পরিণত হয়ে বিয়ে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।
*আদিত্যের সঙ্গে রোমান্সের ব্যাপারে বিশেষ কারও অনুপ্রেরণা ছিল কি?
**আসলে প্রেম এমন একটা বিষয় যা কখনো কাউকে দেখে কিংবা কারও অনুপ্রেরণায় আসে না। এটা একান্তই মনের ব্যাপার। কাকে যে কখন ভালো লেগে যায় তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
*কী দেখে তার প্রেমে পড়েন?
**প্রতিটি মেয়েই একটি ছেলের কোনো না কোনো গুণাগুণ দেখে তার প্রেমে পড়ে। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। আদিত্য এমন একজন মানুষ যার মধ্যে শ্রদ্ধা-ভক্তির বিষয়গুলো অনেক প্রাধান্য পায়। এটা আমাকে খুব টেনেছে। এছাড়া সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, মানুষের উপকার করাসহ অনেক ভালো গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে। আর ভালোবাসার মানুষের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ সেটা সে খুব ভালো করে জানে।
*কে প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন? আপনি নাকি আদিত্য?
**অবশ্যই আদিত্য। সে সবসময় আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করত। কিন্তু আমি প্রথম প্রথম একটু লজ্জা পেতাম। অবশ্য পরে যখন ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সে লজ্জা অনেকখানি কেটে যায়। য় মারুফ কিবরিয়া

No comments

Powered by Blogger.