ইশতেহার বিজেপির, নাকি মোদির?

নরেন্দ্র মোদি
হিন্দুত্ববাদী তিনটি বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকার অটুট রেখেই এবারের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ইশতেহারে মূল তিনটি বিষয় হলো, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, লৈঙ্গিক সমতা রক্ষায় ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ প্রণয়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) কেন্দ্রে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে মোদির বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে ইশতেহারে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
দলের সহকর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেছিলেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শুরু করতে হবে। কাজেই ইশতেহারের নামে প্রথাগত দলিলের পরিবর্তে ‘সুনির্দিষ্ট এবং বাস্তবায়নের উপযোগী’ কাজ নির্ধারণ করতে হবে। কংগ্রেসসহ বিজেপির বিরোধীরা এই ইশতেহারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে রামমন্দির নির্মাণের বিতর্কিত বিষয়টির ওপর আবার গুরুত্ব দেওয়ায় বিজেপির ‘সাম্প্রদায়িক’ চরিত্র পাল্টায়নি বলে অভিযোগ করছে অন্য দলগুলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিজেপির ইশতেহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মোদির ইচ্ছা অনুযায়ী ইশতেহারটি প্রকাশের কারণেই এতটা বিলম্ব হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে। বিজেপির ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রধান মুরলি মনোহর যোশীকে বাড়তি পরিশ্রমটুকু করতেই হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, ইশতেহারের প্রাথমিক খসড়াটি ‘সারগর্ভ’ হলেও সহজে পড়ার উপযোগী ছিল না। মোদির পরামর্শে নতুন করে সেটিকে সহজপাঠ্যে রূপ দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি এবারের ইশতেহারকে গত ১৬টি নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে ‘সেরা’ বলে মন্তব্য করেন। হিন্দুস্তান টাইমস।
বিজেপির ইশতেহার ২০১৪
‘সংবিধানসম্মতভাবে’ রামমন্দির নির্মাণ লৈঙ্গিক সমতা রক্ষায় ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ প্রণয়ন কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদাদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রহিতকরণ বহুজাতিক বিনিয়োগকে (এফডিআই) না, তবে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এফডিআইকে উৎসাহিত করা হবে
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ: ই-গভর্ন্যান্স, কর আদায় সহজকরণ, কালো টাকার ব্যাপারে তথ্য দিতে বিদেশি সরকারকে চাপ প্রদান
সরকারি সংস্কার: দ্রুত বিচার আদালত, লোক আদালতের মতো বিকল্প ব্যবস্থা, জটিল আইনসমূহের সহজীকরণ, অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইন বাতিলকরণ
নারী অধিকার: আইনসভায় ৩৩ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন

No comments

Powered by Blogger.