দ.কোরিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৯৩

দক্ষিণ কোরিয়ার জিন্দো উপকূলের কাছে গতকাল ডুবন্ত ফেরি
থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার পাঠানো হয় ছবি: রয়টার্স
৪৫৯ জন যাত্রী ও নাবিক নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে গতকাল বুধবার একটি ফেরি ডুবে গেছে। এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিল স্কুলশিক্ষার্থী। অনেককে উদ্ধার করা হলেও এখনো ২৯৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। ফেরিডুবিতে নিহতদের একজন স্কুলছাত্র। অন্যজন ফেরির একজন নারী কর্মী। ডুবে যাওয়া জাহাজটি দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইনচিয়ন বন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় অবকাশযাপন কেন্দ্র জেজু দ্বীপের উদ্দেশে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর রওনা হয়। ফেরির মোট ৪২৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩০০-এরও বেশি স্কুলছাত্র। তারা রাজধানী সিউলের দক্ষিণের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক। কয়েক ডজন জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩৬৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁরা গণনায় সমস্যা ছিল উল্লেখ করে জানান, ১৬৪ জনকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। রাজধানী সিউলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নিরাপত্তা ও জনপ্রশাসনবিষয়ক উপমন্ত্রী লি গিয়ং-ওগ বলেন, ‘বাকি ২৯৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।’ ছয় হাজার ৮২৫ টন ওজনের ফেরিটি গতকাল স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০০টা) বিপৎসংকেত পাঠায়। এর দুই ঘণ্টার মধ্যে সেটি সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে যায়। ঘটনার সময় ফেরিটি দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ বাইয়াংপুং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনার কোনো কারণ জানা যায়নি। অবশ্য উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা বলেছে, হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক শব্দ করে জাহাজটি কেঁপে ওঠে। এরপর সেটি থেমে যায়। ফেরিটির নিচের অংশ মাটি বা এজাতীয় শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য জাহাজ উপকূল থেকে দূরে দ্বীপগুলো পর্যন্ত চলাচল করলেও সেখানে দুর্ঘটনার নজির খুব কম। এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.