রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আইনসিদ্ধতা by ইকতেদার আহমেদ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আনীত ৬টি অভিযোগের মধ্যে ১, ২ ও ৩নং অভিযোগের প্রতিটিতে ১৫ বছরের কারাদণ্ড, ৪নং অভিযোগে অব্যাহতি এবং ৫ ও ৬নং অভিযোগে পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি প্রণীত হয় ২০ জুলাই, ১৯৭৩ এবং এ আইনটি প্রণয়নকালে ধারা নং ২১-এ এ আইনের অধীনে দণ্ডিত ব্যক্তিকে দণ্ডের বিরুদ্ধে দণ্ড প্রদানের তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়েরের অধিকার দেয়া হয়েছিল। আইনটিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের দ্বারা রাষ্ট্র বা সরকার পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিকার প্রার্থনার কোনো সুযোগ না থাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাদের মোল্লাকে ৪নং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি এবং ৬নং অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় সরকার পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়। সরকার পক্ষের সংক্ষুব্ধতার প্রতিকার প্রদানে রায় ঘোষণা পরবর্তী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী এনে অব্যাহতি বা খালাসের বিরুদ্ধে এবং সাজা বৃদ্ধিকল্পে সরকার পক্ষের আপিল দায়েরের বিধান প্রণয়ন করে আইনটিতে সংশোধনী এনে ২০০৯ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেয়া হয়।
রায় ঘোষণা পরবর্তী ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী এ আইনের অধীনে দণ্ডিত আসামি কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি-না এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের পরবর্তী প্রশ্নটি উত্থাপিত হলে আপিল বিভাগ সুপ্রিমকোর্টের সাতজন প্রবীণ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন। আপিল বিভাগে এ সাতজন অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য বিবেচনায় প্রতীয়মান হয়, প্রযোজ্য হওয়া বা না হওয়া বিষয়ে তাদের মতামতে ভিন্নতা রয়েছে যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত প্রযোজ্য হওয়ার পক্ষেই দেয়া হয়েছে।
অ্যামিকাস কিউরিদের কাছে আরও একটি প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিল আর সেটি হল- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচারের ক্ষেত্রে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন (Customary International Law) প্রযোজ্য হবে কি-না? এ বিষয়টিতেও দেখা যায় অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত অভিন্ন নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন পূর্ববর্তী সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭নং অনুচ্ছেদে দফা নং (৩) এবং ৪৭ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশ
করা হয়।
৪৭নং অনুচ্ছেদের দফা নং (৩)-এ বলা হয়েছে, এ সংবিধানে যা বলা হয়েছে তা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য বা অন্য কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দিকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দণ্ডদান করার বিধান সংবলিত কোনো আইন বা আইনের বিধান এ সংবিধানের কোনো বিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্য বা তার পরিপন্থী- এ কারণে বাতিল বা বেআইনি বলে গণ্য হবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনি হয়েছে বলে গণ্য হবে না।
দৃশ্যত ৪৭নং অনুচ্ছেদে দফা নং(৩) সন্নিবেশনে প্রতীয়মান হয় সামরিক বা বেসামরিক যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইন এবং ওই আইনের অধীন বিচার ও দণ্ডের বিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও তার প্রাধান্য অক্ষুণ থাকবে।
সংবিধানে ১ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজিত ৪৭ক অনুচ্ছেদে দুটি দফা রয়েছে। (১) নং দফায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোনো আইন প্রযোজ্য হয়, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ, ৩৫ অনুচ্ছেদের (১) ও (৩) দফা এবং ৪৪ অনুচ্ছেদের অধীন নিশ্চয়কৃত অধিকারগুলো প্রযোজ্য হবে না।
সংবিধানের ৪৪নং অনুচ্ছেদ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, এ অনুচ্ছেদটির মাধ্যমে সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ বলবৎ করার জন্য এ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়ের করার অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হলেও ৪৭ক (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবে।
৪৭ক (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এ সংবিধানে যা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোনো আইন প্রযোজ্য হয়, এ সংবিধানের অধীন কোনো প্রতিকারের জন্য সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করার কোনো অধিকার সে ব্যক্তির থাকবে না।
দফা নং (২) অনুধাবনে প্রতিভাত হয়, যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফা প্রযোজ্য হবে, তিনি এ সংবিধানের অধীনে প্রতিকার প্রাপ্তির নিমিত্ত আবেদন করার অধিকারী হবেন না, যদিও ৪৭(৩) দফায় বর্ণিত কোনো আইনের অধীনে প্রতিকার প্রার্থনা এ উপদফার বিধান দ্বারা বারিত নয়।
উল্লেখ্য, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তৃতীয় ভাগে প্রদত্ত অধিকারগুলো বলবৎ করার জন্য ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী রিট মামলা দায়েরের পরিবর্তে ৪৪নং অনুচ্ছেদে সাংবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন প্রতিষ্ঠা বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। যদিও উক্তরূপ আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন প্রতিষ্ঠা পূর্ববর্তী দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ বলে ৭২-এর সংবিধানের ৪৪নং অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপনপূর্বক সাংবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান রহিত করা হয়।
সংবিধানে যদিও উল্লেখ রয়েছে, সংবিধানের সঙ্গে অপর কোনো আইন সাংঘর্ষিক হলে সে আইন বাতিল হবে কিন্তু কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এবং কী পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক সে আইন বাতিল বিষয়ে কার্যক্রম বা পদক্ষেপ নেয়া হবে সে বিষয়ে সংবিধান নিশ্চুপ বিধায় প্রায়ই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, সংবিধান ও আইন রক্ষণ, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ নিয়ে শপথের ব্যত্যয়ে শপথ গ্রহণ করাকালীন সংবিধান ও আইনের বিধানাবলীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণযোগ্য কি-না? এ ধরনের বিতর্ক অবসানে ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত ৪৪নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত সাংবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন যে কার্যকর সমাধান, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে অনাহুত ও অযাচিত পরিস্থিতি পরিহার সম্ভব- এমনই অভিমত সৎ, যোগ্য, দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ আইনজ্ঞদের। আমাদের প্রচলিত আইনে কোনো ব্যক্তি সাজা বা খালাসপ্রাপ্ত হলে অথবা সাজা অপ্রতুল বিবেচিত হলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ সাজা বা খালাস বা অপ্রতুল সাজার বিরুদ্ধে নিকটবর্তী আপিল আদালতে আপিল দায়ের করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আইনে কোনো ব্যক্তি সাজা বা খালাসপ্রাপ্ত বা সাজা অপ্রতুল হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পক্ষ আইনে বর্ণিত বিধানাবলীর আলোকে প্রতিকার প্রার্থনা করতে পারেন। এক্ষেত্রে স্পষ্টত সাধারণ আদালতে যে বিধানাবলী অনুসৃত হয়, তা অনুসরণের সুযোগ অনুপস্থিত।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি পরবর্তী ৪-১ বিভক্ত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশে ১, ২, ৩ ও ৫নং অভিযোগের সাজার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও ৪নং অভিযোগের অব্যাহতির আদেশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর এবং ৬নং অভিযোগের খালাসের আদেশের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাকে মৃত্যুদণ্ডে বর্ধিত করেন। আপিল শুনানিকালে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের পূর্বাপর সাজার সপক্ষে অপ্রতুল সাক্ষ্যের যুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় পরবর্তী আইনের পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতার বক্তব্য আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যর্থ হয়। স্পষ্টত সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ সাজার আদেশটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও বিভক্ত আদেশ হওয়ায় যেসব বিতর্কের সূত্রপাত করেছে, সে বিভক্তির প্রতিফলন জাতীয় জীবনে ঘটলে তা আমাদের অগ্রযাত্রা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করবে- এ কথা ভেবে দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর অনেকেই শংকিত।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বৃদ্ধি করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়ায় অনেকের মধ্যে অনুসন্ধিৎসু প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে- সর্বোচ্চ আদালত সর্বোচ্চ দণ্ড দেয়ায় আইনগত বা বিচারিক প্রতিকারের ব্যবস্থা না থাকলে সংক্ষুব্ধতা নিরসনের কোনো পথ কি থাকবে না? এ প্রশ্নের জবাবে অনেকের অভিমত- সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারেন। আবার অনেকের অভিমত- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক শুধু আপিল দায়েরের অধিকার থাকায় ৪৭ক (২) অনুচ্ছেদ পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা দেবে। সংবিধানের ১০৫নং অনুচ্ছেদে পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত যে বিধান রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সংসদের যে কোনো আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রণীত যে কোনো বিধি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোনো ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা ওই বিভাগের থাকবে।
দেওয়ানি কার্যবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, প্রথমোক্ত বিধিতে দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে একই আদালত কর্তৃক রায় পুনর্বিবেচনার অধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক আদালতকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে, কোনো নতুন বিষয়ের উদ্ঘাটন হয়েছে যা আদালতে বিচার চলাকালীন জ্ঞানের সীমায় ছিল না এবং এমন কোনো ভ্রান্তি বা ভুল হয়েছে যা নথিদৃষ্টে প্রতিভাত। এ দুটি কারণের যে কোনো একটির অস্তিত্ব যখন বিদ্যমান শুধু তখনই পুনর্বিবেচনার অবকাশ সৃষ্টি হয়। পুনর্বিবেচনার এ সুযোগটি ফৌজদারি কার্যবিধিতে অনুপস্থিত থাকলেও আপিল বিভাগ রুলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের মামলার ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার অধিকার প্রদান করা হয়েছে এবং সেটি আইন ও আদালতে অনুসৃত প্রথা সাপেক্ষে যদিও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে নথিদৃষ্টে প্রতিভাত ভ্রান্তি বা ভুলকেই পুনর্বিবেচনার একমাত্র কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আইন মানুষের জন্য, আইনের জন্য মানুষ নয়। তাই সংক্ষুব্ধ পক্ষের প্রতিকার না থাকার কারণে আইন সংশোধন করে যদি ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনায় আগের সিদ্ধান্তের যে কোনো ধরনের পরিবর্তন অত্যন্ত সীমিত হলেও পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই- এ ধরনের বিতর্ক পরিহার উত্তম। এরপর আরও একটি প্রশ্ন আসে আর সেটি হল রাষ্ট্রপতির ক্ষমা, যা সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা স্বীকৃত। এ বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এর একটি হল- রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা চাইতে হলে দোষ স্বীকার করে তা চাইতে হবে। আর অপরটি হল- আইনের ভুল অনুধাবনের জন্য সাজার কারণ ঘটেছে। ইতিপূর্বে যারা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অনুকম্পা পেয়েছেন, তাদের সবাই কি দোষ স্বীকার করেছিল? আর যদি আইনের অপপ্রয়োগ বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে সাজা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে দোষ স্বীকারের অবকাশ কোথায়? তাই পুনর্বিবেচনা ও রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা উভয় বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত যে কোনো ধরনের বিতর্ক নিরসনে আশ্বস্ত হওয়ার পথ উন্মুক্ত করতে পারে।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.