চি ঠি পত্র

ভোকেশনাল শিক্ষা
বাংলাদেশে যেসব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ভোকেশনাল উল্লেখযোগ্য। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ শিক্ষাক্রমে গত ৫২ বছরে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। শিক্ষকদের পাঠদানে অমনোযোগ, প্র্যাকটিক্যালে অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ ও সরকারের নজরদারির অভাবে এ প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ কারিগরের বিপরীতে শুধু সনদধারী কারিগর বের হচ্ছেন। সেসব কারিগর বেকারত্ব দূর করার পরিবর্তে সমস্যা সৃষ্টি করছেন। দেশের উন্নতির জন্য কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, কিন্তু সেই শিক্ষা হতে হবে প্রকৃত কারিগর তৈরির শিক্ষা। এ প্রতিষ্ঠানের দিকে লক্ষ করলে আরও অনেক ধরনের ত্রুটি দেখা যায়। যেমন: উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের সংকট, প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য, যন্ত্রপাতির অভাব, যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো সেকেলের ইত্যাদি। সবকিছু বিবেচনা করলে এ প্রতিষ্ঠান সেকেলেরই মনে হয়। কিন্তু একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজন অপরিসীম। এ শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকায়নসহ শূন্য পদগুলোয় খুব দ্রুত দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই কর্তৃপক্ষের কাছে।
মো. জাকারিয়া রাফি, মেছড়া, সিরাজগঞ্জ।
ভূত এফএম
মানুষকে বিনোদন দেওয়া মানে এই নয় যে, তার জীবনটাকে একটা অন্ধবিশ্বাসের জায়গায় দাঁড় করানো। ইট, কাঠ, পাথর, বিদ্যুৎ আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে ভূত নামক কিছু আছে, এটা মেনে নেওয়া যতটা কঠিন একটা কোমলমতি হূদয়ে ভয় ও ভূত নামক একটা একটা বস্তুর অবস্থান তৈরি করা ততটা সহজ। আজ ভূত এফএম নামের যে অনুষ্ঠান রেডিওতে প্রচার করা হয়, তা দেশের অগণিত মানুষ শোনে, যার বেশির ভাগই শিশু-কিশোর। শুধু শুনলেই চলত, কিন্তু এর প্রতি অন্ধবিশ্বাস বাস্তব জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ভূত এফএম শুনে অনেকে তা বিশ্বাস করছে অন্ধভাবে।
ভূত এফএমে যেস ঘটনা শোনানো হয় তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। বরং শিশু-কিশোরদের মধ্যে একধরনের ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
কাজী আসিফ মোস্তফা, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.