ভাষার মাসে ‘বর্ণ’ যাত্রা

আবেগজড়িত একটি মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলনের মাস হিসেবেও পরিচিত। অধিকার আদায় কিংবা অধিকার বুঝে নেয়ার প্রেরণা যোগানো একটি মাস।
তারুণ্যের দীপ্তময়তা যেন এ মাসে আরও বেশি বেগবান হয়। আর এ মাসেই গুটি গুটি পায়ে এক বছরে পা দিল বর্ণ। আকারে গড়নে ছোট হলেও এর মাঝে এখনই বিরাজ করছে তারুণ্যের আভা। অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। এক বছরের মাথায় তারুণ্যের আভা কি করে আসে? তবে যে বর্ণের কথা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে একটি গানের দল। গানের জগতের ভাষায় এ দলকে বলা হয় ব্যান্ড। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্ম নেয় বর্ণ ব্যন্ড। ব্যান্ডের নাম বর্ণ দেয়ার কারণ কি জানতে চাইলে দলের ভোকাল অপু জানান, এ মাসেই মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি আমরা। বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ঘটিয়েছি বাংলা ভাষাকে। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে পাওয়া এ ভাষা। যে কারণে বাংলা ভাষা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা। আমরা ভাষা আন্দোলনে থাকতে না পারলেও নিজেদের সে আন্দোলনের একজন সৈনিক মনে করি। আর স্মরণীয় এ মাসে নিজেদের জড়াতেই বর্ণ ব্যান্ড গঠিত হয়। এ কথার রেশ ধরেই ব্যান্ডে আরেক ভোকাল এবং গিটারিষ্ট হেলাল জানান, শুধু বাংলা গান করার জন্যই বর্ণ গঠিত হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো কনসার্ট করেছি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন গান আমরা করিনি। বর্ণ দিয়ে ভাষা শুরু আমরাও এ মাসে ব্যান্ড জগতে যাত্রা শুরু করেছিলাম সব মিলিয়েই ব্যান্ডের নাম রাখা হয় বর্ণ। এ কথার সঙ্গে লিড গিটারিষ্ট সুজন বলেন, আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে বর্ণ ব্যান্ড প্রথম কনসার্টটি করে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। যা সত্যিকার অর্থেই স্মরণীয়। ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্য বাবু, রাকিব এবং রাসেলের দাবি তরুণ প্রজন্মকে বাংলা গানে উদ্বুদ্ধ করতেই বর্ণ ব্যান্ড কাজ করে যাবে আজীবন। ব্যান্ড সেট আপে ভোকালে রয়েছে অপু, স্প্যানিশ গিটার ও ভোকালে হেলাল, লিড গিটারে সুজন, কী বোর্ডে রাকিব, ড্রামে রাসেল এবং তবলায় বাবু। সবার মুখেই এক সুর বাংলা ভাষার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখেই শ্রুতিমধুর গান করে যাবে বর্ন ব্যান্ড।
রিয়েল

জনপ্রিয় গাঁদা
পর্তুগিজদের আনা গাঁদা আজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফুল। যে কোন অনুষ্ঠান, উৎসবে গাঁদা ফুলের ব্যবহার হবেই। বিশেষ করে বিয়ে ও হলুদের অনুষ্ঠানে গাঁদা ফুল ও গোলাপের স্থান শীর্ষে।
কেবল ঘর বা অনুষ্ঠানেই নয় বাগানে বা টব ভরা গাঁদা ফুল আমাদের মনে এক অনাবিল আনন্দের জোয়ার বয়ে আনে। বিশেষ করে ইনকা অ্যাসেল বা জুবিলি। বিদেশী এই গাঁদা বীজ আসায় গাঁদা আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। এসবের সাইজ রং এবং আকৃতি মানুষকে আকৃষ্ট করে।
গোল্ডস্মিথ কোম্পানি ইনকার জন্মদাতা। গাঁদার অনেক প্রজাতি আছে। সাফারি, টাইগার আই প্রভৃতিও সুন্দর। ইন্দো-আমেরিকানের এক জাতির ফ্রেঞ্চ মেরিগোল্ড আছে যা সত্যই নয়নকাড়া। সাদা গাঁদার মধ্যে ভ্যানিলা দারুণ। বড় জাতের মধ্যে ইনকা, জুবিলি আর অ্যাকসেল ছাড়াও রয়েছে অ্যাটলান্টিস, ডিসকভারি, গোল্ড কয়েন, রয়াল এবং মায়া।

কী করে লাগাবেন
গাঁদা চারা করা সহজ। অনেকে আবার ইনকা বা বড় জাতের যে কোন গাঁদার ডগা কেটে চারা করেন। সমতল বাংলায় এটা সম্ভব। চটপটে শেকড় আসে তাই। গাঁদা অক্টোবর, নবেম্বর বা ডিসেম্বরেও চাষ করা যায়। এমনকি গরমেও। কিন্তু শীতে গাঁদার আকর্ষণ আলাদা।
পাঁচ ইঞ্চি গভীর পৌনে এক ফুট ব্যাসের টব গাঁদার পক্ষে দারুণ। না পেলে পাঁচ ইঞ্চি গভীর পট। হাল্কা বেলে দোআঁশ মাটি হলে ভাল হয়। সঙ্গে আধাআধি গোবর সার কিংবা অন্তত সিকিভাগ গোবর সার আর সিকিভাগ বালি দিতে হবে। সঙ্গে একটু শিংকুচি ও এক চা চামচ সুপার ফসফেট। গাঁদা লাগলে যতটা সম্ভব রোদে রাখুন। কাঁচা গোবরের পানি গাঁদার প্রিয় খাদ্য। মাত্র ৬০ দিনে গাঁদার ফুল আসে।
মেরীনা চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.