ব্যবসায়ীদের রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্যতম বাধা
কোনো শিল্পকারখানার মালিক নন তারা। দেশের কোথাও কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও নেই। তবুও তারা ব্যবসায়ী নেতা।
সরকারের
সাথে অসাধু ব্যবসায়ীদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা সেতুবন্ধনের দায়িত্ব
পালন করেন। গা বাঁচানোর জন্য তারা সামনে এনে দাঁড় করান সরকারি দলের কাছে
গ্রহণযোগ্য একজন নেতাকে। এরাই অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন এবং
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে ভাগ পাঠান। আর সরকারের পক্ষে বিবৃতি দেন
সময়ে-অসময়ে, নানা বিতর্কিত ইস্যুতে। অতিমাত্রায় দলীয় ভাবাপন্ন দলবাজ
এসব ব্যবসায়ী নেতার কারণেই দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো
ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয় পরিচয়ে পরিচিত এসব ব্যবসায়ী দোসররা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও দলীয়সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিকপর্যায়ে আসছেই না, অবাস্তবায়িত থেকে যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ নেতাদের ঘোষণা। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও সরকার নির্বিকার।
সরকার এফবিসিসিআইকে অঙ্গসংগঠন হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে সংগঠনটির একজন পরিচালক এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় একজন ব্যবসায়ী নেতাকে দিয়ে তার মাধ্যমে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই ব্যবসায়ী নেতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের ইউনিট কমিটির মতো করে সরকারি দলসমর্থক ব্যবসায়ীদের নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা যে বাড়তি মুনাফা করছেন তার ভাগ সরকারের উচ্চ মহলও পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাগিদ দেয়া হয় জড়িতদের খুঁজে বের করার। গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। কিন্তু এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু মুখচেনা ব্যবসায়ীর কারণে কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা কিছু পণ্য কারসাজির মাধ্যমে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ লাভে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেছেন। মূল্য কারসাজিকারকেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয়। সরকারি দলের সদস্য পরিচয়ে নানা কৌশলে তারা এসব পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সরকার বদলের সাথে সাথেই এদের অনেকে রূপ বদল করে সরকারি দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন।
জানা যায়, টিসিবিকে কার্যকর করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সরকারি দলের সমর্থক এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। তারাই টিসিবির সাথে পণ্য সরবরাহের চুক্তি করেন কিন্তু সরবরাহ করেন না। যেটুকু দেন তা-ও নিম্নমানের। এ কারণে প্রয়োজনের সময় টিসিবির গুদামে মাল থাকে না। যে মাল পাওয়া যায় তা-ও খাওয়ার অনুপোযোগী। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। কারণ, সরকারের সাথে এসব ব্যবসায়ীর রয়েছে গভীর সম্পর্ক।
দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে প্রায় সব বাণিজ্য সংগঠনের নেতারাই এখন সরকারি দলের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা অনেকটাই লোক দেখানো। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই’ মর্মে যেসব ব্যবসায়ী নেতা বিবৃতি দেন তারা তো অতিরিক্ত মুনাফা করতেই পারেন। তিনি বলেন, লুঙ্গি পরা যেসব ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্র¿ীর সাথে বৈঠকে বসতে পারেন তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানবেন কেন?
অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয় পরিচয়ে পরিচিত এসব ব্যবসায়ী দোসররা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও দলীয়সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিকপর্যায়ে আসছেই না, অবাস্তবায়িত থেকে যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ নেতাদের ঘোষণা। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও সরকার নির্বিকার।
সরকার এফবিসিসিআইকে অঙ্গসংগঠন হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে সংগঠনটির একজন পরিচালক এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় একজন ব্যবসায়ী নেতাকে দিয়ে তার মাধ্যমে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই ব্যবসায়ী নেতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের ইউনিট কমিটির মতো করে সরকারি দলসমর্থক ব্যবসায়ীদের নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা যে বাড়তি মুনাফা করছেন তার ভাগ সরকারের উচ্চ মহলও পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাগিদ দেয়া হয় জড়িতদের খুঁজে বের করার। গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। কিন্তু এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু মুখচেনা ব্যবসায়ীর কারণে কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা কিছু পণ্য কারসাজির মাধ্যমে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ লাভে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেছেন। মূল্য কারসাজিকারকেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয়। সরকারি দলের সদস্য পরিচয়ে নানা কৌশলে তারা এসব পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সরকার বদলের সাথে সাথেই এদের অনেকে রূপ বদল করে সরকারি দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন।
জানা যায়, টিসিবিকে কার্যকর করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সরকারি দলের সমর্থক এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। তারাই টিসিবির সাথে পণ্য সরবরাহের চুক্তি করেন কিন্তু সরবরাহ করেন না। যেটুকু দেন তা-ও নিম্নমানের। এ কারণে প্রয়োজনের সময় টিসিবির গুদামে মাল থাকে না। যে মাল পাওয়া যায় তা-ও খাওয়ার অনুপোযোগী। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। কারণ, সরকারের সাথে এসব ব্যবসায়ীর রয়েছে গভীর সম্পর্ক।
দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে প্রায় সব বাণিজ্য সংগঠনের নেতারাই এখন সরকারি দলের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা অনেকটাই লোক দেখানো। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই’ মর্মে যেসব ব্যবসায়ী নেতা বিবৃতি দেন তারা তো অতিরিক্ত মুনাফা করতেই পারেন। তিনি বলেন, লুঙ্গি পরা যেসব ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্র¿ীর সাথে বৈঠকে বসতে পারেন তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানবেন কেন?
No comments